কেশবপুরে যমজ শিশুকে ডোবায় ফেলে হত্যা করলো নিষ্ঠুর মা

Untitled-2-copy-9.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : যশোরের কেশবপুরে ১২ দিন বয়সী যমজ শিশুকে বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাদের মায়ের বিরুদ্ধে। স্বামী আবু বকরের সঙ্গে কলহের জেরে সুলতানা খাতুন (৩২) নামে ওই নারী এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে কেশবপুর পৌর সদরের সাহাপাড়া নতুন মসজিদের পাশের ডোবা থেকে শিশু দুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুলতানা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী আবু বকর বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করছে।
স্থানীয়রা জানান, পৌর সদরের সাহাপাড়া নতুন মসজিদ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফ হাওলাদারের মেয়ে সুলতানা খাতুন গত ১০ নভেম্বর যমজ সন্তান প্রসব করেন। এর মধ্যে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে।
পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই শিশু সন্তানের পিতা আবু বক্কর ও মা সুলতানার (স্বামী-স্ত্রীর) মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে শিশু সস্তান দুইটিকে তাদের বাড়ির পেছনের ডোবায় ফেলে তার মা হত্যা করে। এরপর পুলিশ খবর পেয়ে বুধবার সকালে ওই ডোবা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আবু বক্কর তার স্ত্রীকে নিয়ে তার শ^শুরবাড়ি আবদুল লতিফ হাওলাদারের বাড়িতে বসবাস করত।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুই সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করে ওই নারী জানিয়েছেন, স্বামীর সঙ্গে কলহের জের ধরে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে তিনি নিজে হাতে যমজ শিশুদের বাড়ির পেছনের ডোবায় ফেলে দেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহিরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবদুল লতিফের বাড়ির পেছনে থাকা ডোবা থেকে শিশু দুইটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার অভিযোগে তার মাকে আটক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানায় সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংকালে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার মা সুলতানা খাতুন তার দুই শিশু সন্তানকে হত্যার করার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না খতিয়ে দেখা হবে।
মরদেহ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা জানতে পেরে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসাইন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসাইন সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশুদের মা সুলতানা খাতুন হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে পুলিশ।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top