সেনহাটি বাজার-কলেজ পাড়া মাঈনুল হয়ে উঠেছিল এক আতংকের নাম

40_image_url_Khulna-Map-খুলনা-ম্যাপ-খুলনার-মানচিত্র-Khulna-খুলনা-2.jpg

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট…
দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি বাাজার-কলেজপাড়া মাঈনুল হয়ে উঠেছিল এক আতংকের নাম। এলাকায় নানা অপরাধ কর্মকা-ে প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এলাকায় গড়ে ওঠে পক্ষ-বিপক্ষ গ্রুপ। আর এ গ্রুপিং ও আধিপত্যের দ্বন্দ্বের জের ধরে খুনের শিকার হয় সে। দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি রেজার মোড় এলাকার গ্যারেজ মিস্ত্রী মিজানুর রহমানের পুত্র মাঈনুল। এলাকায় হামলা, শান্ত ও বাবুকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখমসহ কয়েকটি মারামরির ঘটনায় তার নাম সামনে চলে আসে। বিগত ইউপি নির্বাচনকে সামনে নিয়ে এ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ ন্যায় বলে এক সূত্র থেকে জানা যায়। আর এ দ্বন্দ্বের জের ধরে মাঈনুল গং কলেজ পাড়ার আবুলের ছেলে বাবুলকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দুপুরে একদল মুখোশধারী সশস্ত্র যুবক সেনহাটি শিব মন্দীরের পিছনে আদর্শ পল্লীর গলি রাস্তায় মঈনুলের উপর চড়াও হয়। তাকে ধারালো রামদা দিয়ে এলোপাথাড়ীভাবে ঘাড়ে, পিঠে, পেটে, হাত-পায়ে কুপিয়ে মারাত্মক খুন জখম করে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সেখান থেকে তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকাল ৫টায় মাঈনুলের মরদেহ আলহাজ¦ সরোয়ার খান ডিগ্রি কলেজ মাঠ সংলগ্ন তার নিজস্ব বাসায় নিয়ে এলে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। স্বজনদের ক্রন্দনে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। আসরবাদ বাসার সামনে কলেজ মাঠে তার জানাজা শেষে স্থানীয় বকশী বাড়ি কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী জিয়াউর রহমান, সেনহাটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম ফরহাদ হোসেন, সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আমীর আলী, সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী মিন্টু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক কামরুজ্জামান মিঠু সেনহাটি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোল্যা নজরুল ইসলাম, দিঘলিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার সরকার এ প্রতিবেদককে জানান, মাঈনুলের বিরুদ্ধে দিঘলিয়া থানায় ৭টি মামলা রয়েছে। যে মামলাগুলো ছিল মারামারী ও কোপাকুপি মামলা। এ ঘটনায় দিঘলিয়া থানায় একটা হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং ৭ তাং ০৮/০৩/২০২৩ ইং। এ ঘটনায় শাহ আলম মুন্সী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে জোর অভিযান অব্যাহত

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top