ডেস্ক রিপোর্ট: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের ১৪ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১ টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সংগঠনটির প্যাডে এ কমিটি প্রকাশ করা হয়।
কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আছেন গণিত বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মো. ইকবাল হোসেন শিকদার ও সেক্রেটারি হিসেবে রয়েছেন ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মো. আসাদুল ইসলাম। এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে অফিস সম্পাদক হিসেবে আছেন ২০১৮-১৯ সেশনের মো. রিয়াজুল ইসলাম; বিজ্ঞান, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে আছেন পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের নাজমুল হক; প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে আছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের ইব্রাহীম আলী ও বায়তুলমাল (অর্থ) সম্পাদক পদে আছেন ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের মো. শাওন সরদার।
এছাড়াও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের মো. আরিফুল ইসলাম রয়েছেন দাওয়াহ সম্পাদক পদে; সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে আছেন ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের মাঈন উদ্দিন; স্কুল, বিতর্ক ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক হিসেবে আছেন সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র নাহিদ হাসান রাসেল; সমাজসেবা ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক পদে আছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের মো. জুবায়ের আহমেদ, আবাসন ও পাঠাগার সম্পাদক পদে আছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মো. মাসুম বিল্লাহ, ছাত্র আন্দোলন ও শিক্ষা সম্পাদক পদে রয়েছেন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শাহিন আহমেদ, এইচআরডি ও ব্যবসায় শিক্ষা সম্পাদক পদে রয়েছেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের মোহাম্মদ জাহেদ এবং আইন সম্পাদক হিসেবে আছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের ছাত্র মো. সোহাগ আহমেদ।
কমিটি প্রকাশ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন শিকদার বলেন, এ কমিটি নতুন গঠন করা নয়। ছাত্রশিবিরের সh শাখার কমিটি শাখার সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে বছরের জানুয়ারি মাসে গঠন করা হয়ে থাকে। তবে ক্যাম্পাসে ভীষণ প্রতিকূল পরিবেশ বিদ্যমান থাকায় ক্ষয়ক্ষতি এড়িয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম ও সাংগঠনিক কাজ পরিচালনার জন্য কৌশলগত কারণে এতদিন কমিটি প্রকাশ করা হয়নি।
উল্লেখ, গত ১১ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে সামনে এসেছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। এ সময় বিবৃতিতে সভাপতি, সেক্রেটারি ও প্রচার সম্পাদকের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল।