বিশ্বকাপে হারের ২৫ বছর পরও মেয়ের কান্না দেখতে পান ডোনাল্ড

image-848679-1725784879-1.jpg

ক্রীড়া ডেস্ক : ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অ্যালান ডোনাল্ডের ভুলে হারতে হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। সেই হারের ধাক্কা এখনো জ্বলজ্বল বাংলাদেশের জাতীয় দলের  সাবেক পেস বোলিং কোচ ডোনাল্ডের স্মৃতিতে। সেই জিততে দরকার ছিল ১ রান। কিন্তু অ্যালান ডোনাল্ডের ভুলে তা করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ডোনাল্ড রান আউট হওয়ায় ম্যাচ টাই হয়ে যায়। সুপার সিক্সের তালিকায় উপরে থাকায় ফাইনালে উঠে অস্ট্রেলিয়া।

২৫ বছর পরও সেই দিনটি ভুলতে পারেননি ডোনাল্ড। এখনো তিনি দেখতে পান একটি বাচ্চা মেয়ের কান্না। পরে ওষুধ খেয়ে সুস্থ হতে হয়েছিল তাকে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই ফাইনালের কথা জানিয়েছেন ডোনাল্ড।  তিনি বলেন, ছোট্ট একটা মেয়ের মুখ আমি এখনো ভুলতে পারিনি। মাথায় হাত দিয়ে সে হাউ হাউ করে কাঁদছিল। আমি এখনো সেই কান্না শুনতে পাই। সেদিন ম্যাচের পর আমাকে দুজন টানতে টানতে সাজঘরে নিয়ে গিয়েছিল। আমার পা চলছিল না। আমি শুধু ভাবছিলাম— ছোট্ট মেয়েটাকে আমি হতাশ করেছি। এখনো সেদিনের কথা ভাবলে মেয়েটার মুখ দেখতে পাই, কান্না শুনতে পাই।

সেদিনের ফাইনালকে সিনেমার মতো মনে হয় ডোনাল্ডের। এত কাছে গিয়ে হারের ধাক্কা আরও বেশি পেয়েছিলেন তিনি। ডোনাল্ড বলেন, ম্যাচ টাই হয়েছিল বলে আরও দুঃখ হয়। পুরো ম্যাচজুড়ে একের পর এক ঘটনা ঘটেছিল। যেন খেলা নয়, সিনেমা হয়েছিল। সেই সিনেমায় একটা বড় চরিত্র ছিল আমার। কিন্তু দুঃখের বিষয়— চরিত্রটা শেষ পর্যন্ত হেরে গিয়েছিল। আমরা সেবার খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছিলাম। বিশ্বকাপ জেতার দাবিদার ছিলাম। কিন্তু আমার ভুলে দল হেরেছিল।

হারের ধাক্কা কাটাকে মনোবিদের কাছে যেতে হয়েছিল তাকে। খেতে হয়েছিল ওষুধ। ডোনাল্ড বলেন, হারের ধাক্কা অনেক দিন আমার মনে ছিল। কিছুতেই স্বাভাবিক হতে পারছিলাম না। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। শেষে মনোবিদের পরামর্শে ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়েছিলাম। কিন্তু সেই স্মৃতি এখনো আমার মনে টাটকা।

১৯৯৯ সালের পর থেকে একদিনের বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। চলতি বছর অবশ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল তারা। সেখানেও ভারতের বিপক্ষে জয়ের মুখ থেকে হারে দক্ষিণ আফ্রিকা।

Share this post

scroll to top