ডেস্ক রিপোর্ট: হিমেল বাতাস আর কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে বোর চাষে মাঠে নেমেছে কয়রার কৃষকরা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাঠে কাজ করছেন তারা। এখনও আমন কাটা শেষ হয়নি। অনাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, ডিজেল সার, শ্রমিকের দাম। বৃদ্ধিতে এবার আমন চাষে বেগ পেতে হয়েছে কয়রার চাষিদের। বোরো চাষিরা আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিবে বলে আশা করছে।
কেউ বীজতলা প্রস্তুত করছে। আবার কেউ জমিতে চারা রোপনের কাজ সম্পন্ন করেছে। কৃষকদের বোরো আবাদে আগ্রহ বাড়লেও ডিজেল- বীজ-সার-শ্রমিকের দাম বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ জোগাড়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে। পুরো মৌসুমের খরচ নিয়ে চিন্তিত তারা।
কয়রা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোর মৌসুমে ৫ হাজার ৮৫০ এক্টর জমিতে বোর আবাদের টার্গেট রয়েছে।
হুদুবুনিয়া পশ্চিম বিলের কৃষক মো. মোস্তফা গাজী বলেন আমি প্রতিবছর বোর আবাদ করি এ বছর ও দুই বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছি।
কুশোডাংগা বিলের কৃষক মো. আছাদুল ইসলাম বলেন, আমি প্রতিবছর বোর ধান লাগায় এবছর ৩ বিঘা জমিতে ধান লাগাচ্ছি। আমাদের এখানে ইউনিয়ন কৃষি অফিসার কোন সময় আসে না। যদি তিনি মাঝে মধ্যে আসে তাহলে আমরা তার কাছ থেকে পরমর্শ নিতে পারি।
মাদারবাড়িয়া বিলের কৃষক মো. শওকত সরদার বলেন, আমি ৩ বিঘা জমিতে বোর ধান লাগায়ছি। একই কথা বলেন, একই বিলের কৃষক মো. বাবুল গাজী। সাতহালিয়া বিলের কৃষক মো. মোখলেছুর রহমান আমি এ বছর ৫ বিঘা জমিতে বোর ধান লাগাবো। ধানের পাতা ফেলিয়েছি পাতা ভালো হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যে রোপা দিবো।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ,মাঠের পর মাঠ পানিতে থৈ থৈ করছে। প্রতিটি জমিতে কৃষক ভূগর্ভের পানি ইঞ্জিন চালিয়ে শ্যালো বা মটরের মাধ্যমে উঠিয়ে জমিতে দিচ্ছেন। এই পানি দেওয়ার পর কেউ কেউ চাষ শুরু করেছেন, তবে সার কীটনাশক শ্রমিকের দাম বৃদ্ধি ও ব্যবহৃত নাঙ্গলের দাম বেড়ে যায় চিন্তার ভাঁজ করেছে কৃষকদের কপালে।
কয়রা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই কৃষকরা প্রচন্ড পরিশ্রম করছে। বোরো চাষে এবার লক্ষ্যমাএা রয়েছে ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর । ইতোমধ্যে ২ হাজার ৫০০ জন বোরো চাষিকে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। কৃষকের পাশে থেকে বীজতলাসহ ধান রোপনে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।