‘আবু সাঈদ পাস করল কিন্তু দেখে যেতে পারল না’

8-670db9de874d8.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহিদ আবু সাঈদ।

সোমবার বিকালে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে নিবন্ধন পরীক্ষার লিখিত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ফলাফলে দেখা গেছে, আবু সাঈদ ইবতেদায়ি সহকারী শিক্ষক হিসেবে লিখিত পরীক্ষায় পাস করেছেন। পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ২০১২৫৬২৯৭। বাবার নাম মো. মকবুল হোসেন। মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম।

আবু সাঈদের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর গ্রামে। তার বড় ভাই রমজান আলী বলেন, স্থানীয় জাফরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পায় সাঈদ। এরপরে স্থানীয় খালাশপীর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করে। ২০১৮ সালে রংপুর সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করে। পরে ২০২০ সালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয় সে।

রমজান আলী আরও বলেন, ‘আবু সাঈদের ইচ্ছা ছিল পড়াশোনা করে ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও সংসারের অভাব ঘোচাতে আবু সাঈদ ইবতেদায়ির শিক্ষক হতে নিবন্ধন পরীক্ষা দিয়েছিল। পাসও করল কিন্তু তা নিজে দেখে যেতে পারল না। আমাদের এসব দেখে আর লাভ কি?’

গত ১৬ জুলাই বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন আবু সাঈদ। যে ফটকটি পরে ‘শহিদ আবু সাঈদ গেট’ নামকরণ করেন শিক্ষার্থীরা। আবু সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ছিলেন।

Share this post

scroll to top