প্রথমবারের মত গুরুত্বপূর্ণ টিভি বিতর্কে মুখোমুখি হ্যারিস ও ট্রাম্

Presidential-Debate-pic-66e00ce968134.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে প্রথমবারের মতো ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টিভি বিতর্কে মুখোমুখি হতে ফিলাডেলফিয়া পৌঁছালেন ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।

মার্কিন সময় মঙ্গলবার রাত ৯টায় এবিসি নিউজে এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।

হ্যারিস জানিয়েছেন, বিতর্কের আগে তিনি ভালো মেজাজে আছেন। তবে তিনি মনে করছেন, ট্রাম্প ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন। তার জন্য তিনি প্রস্তুত। অতীতে ট্রাম্প তার বুদ্ধিমত্তা থেকে শুরু করে জাতিগত পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি তাই সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।

হ্যারিস রিকি স্মাইলি রেডিও শো-তে বলেছেন, আমরা প্রস্তুত। আমরা এই বিষয়েও প্রস্তুত যে তিনি প্রচুর অসত্য কথা বলবেন।

গর্ভপাতের অধিকার নিয়ে হ্যারিস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে পারেন। রক্ষণশীলদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি এই অধিকারের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে ও ট্রাম্প তা সমর্থন করেছেন। তিনি ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে ট্রাম্পের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন।

অন্যদিকে ট্রাম্প মুদ্রাস্ফীতি, অভিবাসন নীতি নিয়ে হ্যারিসকে আক্রমণ করতে পারেন। তাছাড়া এই ধরনের বিতর্কের সময় ট্রাম্প কী করবেন তা আগে থেকে আঁচ করা যায় না।

ট্রাম্পের প্রচার-পরামর্শদাতা জেসন মিলার সোমবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিতর্কে নামার আগে প্রস্তুতি নেওয়াটা কঠিন। কোনো নির্দিষ্ট পথে তা করা যায় না। আপনি জানেন না, কোন দিক থেকে কী ধরনের আক্রমণ আসবে।

সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি গ্যাবার্ড প্রচার-প্রস্তুতিতে ট্রাম্পকে সাহায্য করছেন। ২০২০ সালে দলের ভিতরে তিনি হ্যারিসের সঙ্গে বিতর্ক করেছেন।

বিতর্কের গুরুত্ব

ট্রাম্পের বয়স ৭৮ বছর আর হ্যারিস ৫৯ বছর বয়সি। এই বিতর্কে কে কীভাবে নিজেকে তুলে ধরেন তার দিকেও দর্শক ও শ্রোতাদের নজর থাকবে।

কোনো সন্দেহ নেই অর্থনীতি, অভিবাসন নীতি, পররাষ্ট্র নীতি এবং অন্য বিষয়গুলো নিয়ে বিতর্কে আলোচনা হবে, সেই সঙ্গে কীভাবে ট্রাম্প ও হ্যারিস কথা বলছেন, যুক্তি দিচ্ছেন, প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলাচ্ছেন, সেগুলোও ভোটদাতাদের মনে দাগ কাটবে।

১৯৬০ সালের সেপ্টেম্বরে সেই সময়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক্সন প্রথম দেশজুড়ে সম্প্রচারিত টিভি বিতর্কে অংশ নেন। বিপক্ষে ছিলেন সেনেটর জন এফ কেনেডি। এই বিতর্কের আগে নিক্সন ছিলেন ফেভারিট। কিন্তু বিতর্কের পর নড়বড়ে জায়গায় চলে যান। শেষপর্যন্ত জন এফ কেনেডি জিতে প্রেসিডেন্ট হন।

Share this post

scroll to top