খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক দখল করে ব্যবসা, ঘটছে দুর্ঘটনা

-সাতক্ষীরা-মহাসড়ক-দখল-.jpg

দর্পন রিপোর্ট: সাতক্ষীরার তালা উপজেলাধী সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের কুমিরা, পাটকেলঘাটা বাজার, মির্জাপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কের অংশ বিশেষ দখল করে ব্যবসার জন্য স্তুপ করে রাখা হচ্ছে বালি। যত্রতত্র রাখা হয়েছে ইট, কাঠসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। পরিবেশের পাশাপাশি বিপন্ন হচ্ছে জনজীবন। অভিযোগ করেও মিলছে না প্রতিকার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মির্জাপুর, কুমিরা, পাটকেলঘাটা হয়ে বিনেরপোতা পর্যন্ত মহাসড়কের কমপক্ষে ২০টি পয়েন্টে, বিভিন্ন ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে কাঠ, ইট, বালি ও নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখা হয়েছে। এ সড়কে দূরপাল্লার বাসসহ প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচল রয়েছে। এভাবে বালি, ইট ও কাঠ সড়কের গা ঘেষে দু’ধারে যত্রতত্র ফেলে রাখায় প্রতিদিন ছোট-খাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।

পাটকেলঘাটা এলাকার শিক্ষক মুজিবর রহমান, প্রবীর পাল, রাজীব সরদার, ব্যবসায়ী বিপ্লব হোসেন, দিদার হোসেনসহ অনেক পথচারী জানান, মহাসড়কের দু’পাশে ব্যবসায়ীরা দিনের পর দিন ফেলে রেখেছে কাঠ, ইট, বালিসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী। তাদেরকে নিষেধ করলেও তারা কোন কর্ণপাত করেন না। রাস্তার পাশে বালি রাখার কারণে গাড়ি চলাচলের সময় ও বাতাস হলে বালি উড়তে থাকে। ফলে এখানে দোকান খোলা রাখা যেমন দুষ্কর হয়েছে, তেমনি প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ইতিমধ্যে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটলেও কোন প্রতিকার মিলছে না। বরং মহাসড়কের দু’পাশজুড়ে বালু ও কাঠ রাখার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রুত মহাসড়কের দু’ধারে বালু, ইট ও কাঠ সরিয়ে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান তারা।

স্থানীয় বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারি ওবায়দুল্লাহ বলেন, বালি নিয়ে বিড়ম্বনা সহ্য করতে না পেরে তিনি সম্প্রতি ৯৯৯ এ রিং দিয়েছিলেন। কিন্তু মেলেনি কোন প্রতিকার।

এদিকে কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদ মোড়ে মহাসড়কের সাথেই ইট ও বালি স্তুপ করে রেখে বিক্রি করছে মো. আনিছুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, রাস্তার পাশে ইট ও বালি রেখেছি বিক্রির জন্য। ওখান থেকে সরানো সম্ভব না। যদি কারো ক্ষমতা থাকে আমাকে কিছু করুক।

জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি সদস্য মোহাম্মদ সাকিবুর রহমান বলেন, সড়কের বিভিন্ন স্থানে কেউ বিক্রির জন্য আবার কেউ বা নিজের ও প্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য বালি, ইট ও কাঠ রাখতে পারে না। সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িত্ব এমন উপদ্রব থেকে মুক্ত রাখতে। এসব উপদ্রব রাস্তার পরিবেশ নষ্টের পাশপাশি সাধারণ মানুষের নিরাপদ চলাচল বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ,কে,এম শফিকুজ্জামান বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দ্রুত মহাসড়কে স্থাপিত এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

সাতক্ষীরা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, ইট বালুর রাস্তায় বাতাস দূষিত করে পথযাত্রীদের স্বাস্থ্য সম্মত অক্সিজেন ব্যাহত করে, ধুলা বালি চোখে গিয়ে দুর্ঘটনায় ঘটে এবং নিরবিচ্ছিন্ন চলাচলে বাধাগ্রস্ত করে। সড়কের পাশ থেকে ইট ও বালির ব্যবসা সরিয়ে দেওয়ার জন্য জরুরী র্কাকর ব্যবস্থা গস্খহণ করা হবে।

Share this post

scroll to top