বেনাপোল এক্সপ্রেসে দগ্ধ আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক : ডাঃ সামন্ত লাল

Untitled-13-copy-2.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিকা-ের ঘটনায় দগ্ধ আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। সর্বোচ্চ একজন দগ্ধের শরীরের ৯ শতাংশ পুড়ে গেছে। সবাই মানসিক ট্রমার মধ্যে রয়েছেন। গতকাল ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডাঃ সামন্ত লাল সেন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
ডাঃ সামন্ত লাল সেন বলেন, আসিফ মোহাম্মদ খান নামে একজন রোগীর শরীরে আট শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। নাফিজ আলম নামে আরেকজনের ৫ শতাংশ পুড়েছে। এ দুজনসহ বাকিদের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।
ডাঃ সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘সবাইকেই আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। সব রোগীই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।’
শুক্রবার রাতে রাজধানীর গোপীবাগ এলাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এতে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগেই ট্রেনের চারটি কামরা পুড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান জানান, শুক্রবার রাত ৯টা ৫ মিনিটের দিকে তারা আগুন লাগার খবর পান। প্রথমে খিলগাঁও ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের চারটি ইউনিট সেখানে ছুটে যায়। পরে আরও তিনটি ইউনিট পাঠানো হয়। শনিবার থেকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের আগের রাতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ঢাকায় আসছিল। কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছার আগে গোপীবাগ কাঁচাবাজার এলাকায় ট্রেনের একটি কামরায় আগুন দেখা যায়। গাড়িটি থামার পর আশপাশের লোকজন পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তবে তাতে বিশেষ কাজ হয়নি। দ্রুত আগুন পাশের কামরায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে তৎপরতা শুরু করেন।
এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় মা ও শিশুসহ চারজন পুড়ে মারা যান। আহত হন আরও অন্তত একজন। তবে আগুন দেয়ার ঘটনায় জড়িতদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধের মধ্যে গত দুই মাসে প্রায় ৩০০ যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এর মধ্যে গাজীপুরে রেললাইন কেটে রাখার ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া একাধিক স্থানে রেললাইনে নাশকতার চেষ্টা চালানো হয়।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top