বিশ্ব বিবেক এখন কোথায়, ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রধান বিচারপতি

Untitled-2-copy-3.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বিশ্ব মানবিকতার বিবেক এখন কোথায়? নবী করীম সাঃ মানুষের প্রতি ভালোবাসার কথা বলেছিলেন। মুসলমানের জন্য ভালোবাসার কথা বলেননি। সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য বলেছেন। মহানবী বিশ্বে মানবিকতার বার্তা দিয়ে গেছেন।
পবিত্র ঈদে মিলাদ্ন্নুবী-২০২৩ উপলক্ষ্যে ‘হযরত মুহাম্মদ সাঃ এবং একটি মানবিক বিশ্ব’ শীর্ষক এক আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রবিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি মোঃ মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ রেজাউল হাসান (এম আর হাসান), অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা একটা বিশ্বাসের ওপরে চলছি। এই বিশ্বাসটা হচ্ছে, নবী করীম সাঃ বলে গেছেন এইটা আল্লাহর কুরআন, তোমরা এটা ফলো করো। এখানে সব কথা বলা আছে। এই অনুযায়ী চলো। আর আমার জীবন চরিত্র লক্ষ্য করো। আমরা তার জীবন চরিত্র লক্ষ্য করে চলছি। এই জীবন চরিত্র লক্ষ্য করে চললে আমার মনে হয় না আমাদের জীবনে কোনো দুঃখ কষ্ট থাকবে।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বিশ্বে আজ যে মানবিক বিপর্যয় ঘটছে, ফিলিস্তিনের যে অবস্থা। ফিলিস্তিনের এই অবস্থার জন্য কারা দায়ি, কীভাবে দায়ি, কেন হলো এই অবস্থা। ইতিহাস পেছন থেকে একটু পড়তে হবে। ইতিহাস যদি পড়েন দেখবেন। কমবেশি সকলের ভুল থাকতে পারে। কিন্তু একটি বিষয়ে ভুল নেই। মানুষকে হত্যা করা, নারী হত্যা করা, শিশু হত্যা করা, যে কোনো মানুষকে হত্যা করা জঘন্য পাপ। সব ধর্মে তাই বলে।
ফিলিস্তিনের বিপর্যয়ের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, টেলিভিশনে দেখবেন প্রতিদিন ফিলিস্তিনে কত লোক মারা যাচ্ছে। আমরা এক উম্মাহ বলি। সারা বিশ্বের মুসলিমরা এক উম্মাহ। কোথায়? কোথায় হই চই, কোথায় শব্দ?
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ করেছে। আমরা কোনো আক্রমণকে সমর্থন করি না। বাংলাদেশ সরকারও সমর্থন করেনি। সেখানে বিশ্বের বহু অংশ সরব। জাতিসংঘে রেজুলেশন নিচ্ছে। সেখানে তারা ভেটো দিচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলের ব্যাপারে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি শক্ত কথা বলেছেন, সেই শক্ত কথা বলার পরে জাতিসংঘের মহাসচিবের পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top