খুলনার দর্পণ ডেস্ক : ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রথমবারের মতো পরাজিত হলেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। সংক্রমিত রক্তবিষয়ক কেলেঙ্কারি ইস্যুতে সুনাকের প্রধানমন্ত্রিত্বে পার্লামেন্টে প্রথম পরাজয়।
১৯৭০ দশকের শেষের দিকে এবং ১৯৮০ দশকের শুরুর দিকে প্রায় ৪৮০০ মানুষের রক্তে জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা দেয়। তদন্তে জানা গেছে, ওই সব মানুষকে রক্তদাতারা এইডস সৃষ্টিকারী এইচআইভি অথবা হেপাটাইটিস সি ভাইরাসে সংক্রমিত ছিলেন।
ফলে ওই ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভোট হয়। এতে নিজ দল কনজার্ভেটিভের কিছু এমপি বিদ্রোহ করে ঋষি সুনাকের বিপক্ষে ভোট দেন।
ভিকটিম অ্যান্ড প্রিজনার্স বিলের একটি সংশোধনীর ওপর ছিল এই ভোট। পক্ষে ভোট দেন ২৪৬ জন এবং বিপক্ষে ভোট দেন ২৪২ জন এমপি। বিলটি এখন আইনে পরিণত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদানকারী একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে সরকারকে। খবর অনলাইন গার্ডিয়ানের।
বিলটি পাস হওয়ায় এটা হলো ঋষি সুনাকের প্রধানমন্ত্রিত্বে পার্লামেন্টে প্রথম পরাজয়। সংক্রমিত রক্ত দেয়া বা কিনে নেয়ার ওই ঘটনা এখনও তদন্তাধীন রয়েছে।
এর আগে সরকার জানিয়েছিল, ক্ষতিপূরণ দেয়া একটি নৈতিক বিষয়। ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে। তবে তদন্তের ফল আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তদন্তে সভাপতিত্ব করছেন স্যার ব্রায়ান ল্যাংস্টাফ। গত মাসে ফাইনাল তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করার কথা থাকলেও এখন মনে হচ্ছে তা প্রকাশ হবে মার্চে। সংক্রমিত রক্ত দেয়ার ওই স্ক্যান্ডালে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্ধেকই মারা গেছেন।
অন্যদের সঙ্গে বিলটিতে সংশোধনীর পক্ষে ভোট দিয়েছেন নারী এবং সমতাবিষয়ক সিলেক্ট কমিটির চেয়ার ক্যারোলাইন নোকস এবং সাবেক আইনমন্ত্রী স্যার রবার্ট বাকল্যান্ড। ভোটের ফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ হাউস অব কমন্সে উল্লাস দেখা দেয়। বিলটিতে সংশোধনী এনেছিলেন লেবার দলের এমপি ডেম ডায়ানা জনসন।
ডেম ডায়ানা জনসন বলেছেন, এটা হলো সামনে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ একটা পদক্ষেপ। ব্রিটিশ আইনমন্ত্রী এডওয়ার্ড আরগার ভোটের আগে বলেন, রক্ত নিয়ে ওই কেলেঙ্কারি হওয়া উচিত ছিল না। বিলের সংশোধনীর প্রতি সরকারের বড় রকমের সহানুভূতি রয়েছে।