জনগণ ভোট না দিলে স‌্যালুট দিয়ে চলে যাব: কৃষিমন্ত্রী

1677066314.rzk_.jpg

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট …….
কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে আগামী নির্বাচন হবে। নির্বাচনে যদি জনগণ ভোট না দেয় আমরা স‌্যালুট দিয়ে চলে যাব।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইওয়ামা কিমিনরির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়া রাজনীতি কিংবা নির্বাচন করতে পারবে কিনা? সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কেন উনি (খালেদা জিয়া) রাজনীতি করতে পারবেন না? উনি জেলে থেকেও রাজনীতি করতে পারবেন, দলকে নির্দেশনা দেবেন। তবে নির্বাচন করতে পারবেন কিনা- সেটি নির্বাচন কমিশন নির্ধারণ করবে। আইনে যা আছে সেটা হবে। সে অনুযায়ী ওনাকে নির্বাচনে আসতে হবে।

তিনি বলেন, রাজনীতি উনি করতে পারবেন। গণতান্ত্রিক দেশ, একজন রাজনৈতিক নেতা একটা দলের, দুবারের প্রধানমন্ত্রী। কেন উনি রাজনীতি করতে পারবেন না! রাজনীতিবিদ তো রাজনীতিবিদই। কিন্তু উনি নির্বাচন করতে পারবেন না, যেহেতু তার জেল হয়েছে। জেলের কারণে বিধিনিষেধ আছে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এ সরকারের অধীনে ‘ফোরটুয়েন্টি’ মার্কা নির্বাচন করতে দেবেন না বলে মন্তব‌্য করেছেন। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সেটা বহুদিন মান্না কেন আরও বড় বড় নেতারাও বলেছেন। মাহমুদুর রহমানের পার্টি তো খুবই ছোট। এ পার্টি কী বলছে সেটা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাচ্ছি না। একই কথা পুনরাবৃত্তি করছি- সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। এর কোনো ব‌্যত‌্যয় হবে না। প্রধানমন্ত্রী পলাবে, দেশ ছেড়ে যাবে- এগুলো হবে না। প্রধানমন্ত্রী আছেন, নির্বাচন পর্যন্ত থাকবেন। নির্বাচনে যদি জনগণ ভোট না দেয় আমরা স‌্যালুট দিয়ে চলে যাব। কিন্তু নির্বাচন হবে, সময়ের মধ‌্যেই হবে। সংবিধানের বাইরে কারো কিছু করার সুযোগ সেই।

জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, তারা বাংলাদেশ থেকে আম নেবে। এছাড়া শাকসবজি এবং অন‌্যান‌্য ফলও তারা নেবে। এখন জাপানে বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ‌্য যায় না। পণ‌্য নিরাপদ হতে হবে, মান নিশ্চিত করতে হবে। সেগুলোর ওপর আমরা দুই দেশ কাজ করছি। আমের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপানে যাবেন, সে সময় একটি চুক্তি সই হবে। আগামী এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর জাপান যাওয়ার কথা। তবে এটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কাজ চলছে। জাপানের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার পরিধি বাড়ছে। বাংলাদেশে পাওয়ার টিলার প্রথম জাপান থেকেই আসে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা জাপান থেকে অনেক কৃষি যন্ত্রপাতি আনি। আমরা চাচ্ছি জাপানি কোম্পানিগুলো যাতে বাংলাদেশে তাদের ইন্ডাস্ট্রি করে। এরই মধ‌্যে ইয়ানমার বাংলাদেশে কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার, ট্রান্সপ্ল‌্যান্টারের কারখানা এসিআইসের সঙ্গে করছে। খুব তাড়াতাড়ি শুরু করবে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top