ছিল না গেটম্যান, বললেন মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা ইমন

1659103479.bg-675.jpg

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট….
ছিল না গেটম্যান, বললেন মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা ইমনমৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফেরা জুনাইদ কাউসার ইমন।
চট্টগ্রাম: সড়কের রেল ক্রসিংয়ের সিগন্যাল বা প্রতিবন্ধক যাওয়া ও আসার সময় ছিল না। যাওয়ার সময় রেলে আসতেছিল সেখানে থাকা গেটম্যানের রুম থেকে একজন বলেছে রেল আসছে, রেল দূরে আছে, আপনারা চলে যান।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় চুরমার হওয়া মাইক্রোবাসে থাকা আহত জুনাইদ কাউসার ইমন বাংলানিউজকে এই কথা বলেন।
জুনাইদ কাউসার ইমন হাটহাজারী থানার আমান বাজার খন্দকিয়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি হাটহাজারীর কেসি শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজে উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র।
জুনাইদ কাউসার ইমন বলেন, আসার সময় সড়কের রেল ক্রসিংয়ের সিগন্যাল বা প্রতিবন্ধক ছিল না। অতিরিক্ত বৃষ্টি পড়ছিল চারদিকে দোকান ছিল, যার কারণে চালক রেললাইনের দিকে নজর দেয়নি। রেল আসছে সেটা দেখা যায়নি, আমি মাইক্রোবাসের শেষের সিটে বসে ছিলাম। রেললাইনে উঠার সঙ্গে সঙ্গে রেল মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়ে সামনে নিয়ে যায়। আমি মাইক্রোবাসের কাচ ভেঙে বের হয়ে যাই। স্থানীয় বাসিন্দা ও পরে জাতীয় জরুরি সেবায় কল দিলে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস পুলিশ আসেন।
আসার সময় রেলের গেটম্যানের রুমটা তালাবদ্ধ ছিল জানিয়ে জুনাইদ কাউসার ইমন বলেন, কোন ধরনের গেটম্যান ছিল না। আমান বাজার থেকে সকাল ৮টার দিকে বের হয়েছি। আজান দেওয়ার সময় ঝরনায় ছিলাম। সেখান থেকে আসার সময় সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাসে মোট ১৮ জন ছিল, তার মধ্যে ৪ জন কোচিংয়ের শিক্ষক, ১২ জন শিক্ষার্থী ও ২ জন চালক ও সহযোগী ছিল।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top