পদ্মা সেতুর রেললাইনে বসেছে শেষ স্লিপার

1680081986.podma-2.jpg

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ……..
স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে সড়কপথের পর এবার ট্রেন চলার স্বপ্নও বাস্তব হচ্ছে। পদ্মা সেতুর রেললাইনের সাত মিটার দৈর্ঘ্যের শেষ স্লিপারটি বসানোর মধ্য দিয়ে শেষ হলো দীর্ঘ যাত্রা।

বুধবার (২৯ মার্চ) পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ স্লিপার বসানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়, স্লিপারটি চীন থেকে প্লেনে করে আনা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় স্লিপারটি রাজধানী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। মঙ্গলবার সেটি পদ্মা সেতু প্রকল্পের সাইটে আনা হয়। স্লিপারটি বসানো হয়েছে। এখন এর পাশেই সাত মিটার ঢালাই হবে। সেটি শক্ত হতে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগে। এরপরই ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে।

প্রকৌশলীরা জানান, মূল এবং দুপাশের ভায়াডাক্ট মিলিয়ে পদ্মা রেল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.৬৮ কিলোমিটার। রেল সেতুতে আটটি মুভমেন্ট জয়েন্ট রয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো সর্ববৃহৎ রেলব্রিজ মুভমেন্ট জয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে পদ্মা রেল সেতুতে। দ্রুত গতিতে রেল চলার সময় এই মুভমেন্ট জয়েন্ট ৮০০ মিলিমিটার পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারবে। মূল সেতুতে ১১ হাজার ১৪০টি স্লিপার স্থাপিত হয়েছে। মুভমেন্ট জয়েন্টের ইস্পাতের আটটি স্লিপার ছাড়া বাকি সবগুলো কংক্রিটের তৈরি। এগুলো ফরিদপুরের ভাঙ্গা পুরোনো রেলস্টেশনের পাশে স্থাপিত কারখানায় তৈরি করেছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে বিশেষ তাপমাত্রায় মুভমেন্ট জয়েন্টের ইস্পাতের স্লিপারগুলো তৈরি করে আনা হয় চীন থেকে।

প্রসঙ্গত, দ্রুত কাজের সুবিধার্থে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পুরো প্রকল্পের কাজের প্রায় ৭৫.৯২ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত অংশের কাজ শেষ হয়েছে ৭৪.১৪ শতাংশ। অন্যদিকে মাওয়া-ভাঙ্গা অংশে ৯১ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং ভাঙ্গা-যশোর অংশে ৬৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

দ্রুত সম্পন্ন করতে বর্তমানে ঢাকা-নারায়নগঞ্জ রেল রুটের ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top