সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট…..
খুলনা নগরীর হরিণটানা এলাকায় অটো গ্যাস পাম্পের আড়ালে এলপি গ্যাসে অবৈধ ক্রস ফিলিংয়ে জড়িত তিন জনকে পুলিশ আটক করেছে। তারা ঝুঁকিপূর্ণভাবে সিলিন্ডারে গ্যাস ভরে বাজারজাত করণে সহায়তা করতো।
এতে একদিকে সিলিন্ডার ব্যবহারে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। সেই সঙ্গে কম ওজনের গ্যাস কিনে প্রতারিত হচ্ছেন গ্রাহকরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অটো গ্যাস পাম্পে এ ধরনের ফিলিং প্রক্রিয়া যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, তেমনি ব্যবহারও ঝুঁকিপূর্ণ। ভোক্তাদের নিরাপত্তার কথা না ভেবেই অধিক মুনাফার আশায় অসাধু ব্যক্তিরা এ ধরনের বিপদজনক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) রাতে খুলনার খালিশপুরে বিভিন্ন ব্রান্ডের ঝুকিপূর্ণ ৬৩টি এলপিজি সিলিন্ডারসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে ওমেরা গ্যাস কোম্পানির ৪৪টি সিলিন্ডার, লাফসের ১৫টি ও যমুনা কোম্পানির ৪টি সিলিন্ডার রয়েছে। পরে শুক্রবার (২৬ আগষ্ট) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধভাবে ফিলিং করা এলপিজি সিলিন্ডার মজুদ করায় তাসমিম হাসান মিলন নামে এক ব্যক্তিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ইব্রাহিম হোসেন এ দণ্ড দেন। আটক অপর দুইজন হচ্ছেন- মিনি ট্রাক চালক মোহাম্মদ উল্লাহ ও পরিবহন শ্রমিক শরিফুল ইসলাম।
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, নগরীর হরিণটানা এলাকায় সুরাইয়া ফিলিং স্টেশনে (অটো গ্যাস পাম্প) দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন ব্রান্ডের সিলিন্ডারে এলপি গ্যাস ফিলিং ও বাজারজাত করা হচ্ছে। তবে, অনুমতিপ্রাপ্ত কোম্পানিতে স্বয়ংক্রিয় আধুনিক মেশিনের মাধ্যমে সিলিন্ডারের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এলপি গ্যাস বাজারজাত করা হয়। আর চক্রটি করছে যেনতেন প্রক্রিয়ায় তা বাজারে বিক্রি করছে। ফলে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মতো দুর্ঘটনাও ঘটছে।