ধামরাইয়ে মা-বাবার সঙ্গে দুই শিশুর হাজতবাস

images-1.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: পারিবারিক কলহ মীমাংসার কথা বলে ডেকে আনার পর মা-বাবার সঙ্গে থানাহাজতে ঢোকানো হয় প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহিম রাজ ও ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানকে।

মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম, আর বাবার নাম মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শরিফ। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে একরাত, একদিন হাজতবাসের পর দুই শিশু মুক্তি পেলেও মা-বাবাকে একটি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে চালান করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ঢাকার ধামরাই উপজেলার ভারারিয়া ইউনিয়নের উত্তর দিগলগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিজ্ঞ আদালত মা-বাবাকে জামিন দিয়েছেন।

জানা যায়, গ্রামের মো. শামসুল ইসলামের বড় ছেলে শরিফ সৌদি আরবে থাকাকালীন পৈতৃক ভিটায় একটি পাকা ভবন নির্মাণ করেন। ভবন নির্মাণ কাজের সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন সহধর্মিণী মনোয়ারা বেগম।

স্থানীয় কুচক্রী মহলের পরামর্শে শামসুল তার ছেলে শরিফের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে ওই পাকা ভবন থেকে বের করে দেন। খবর পেয়ে শরিফ দেশে ফিরে ২২ জানুয়ারি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ওই ভবনে বসবাস শুরু করেন। শামসুল কুচক্রী মহলের সহায়তায় শুক্রবার ওই ভবনের বাইরে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। খবর পেয়ে ধামরাই থানার এসআই মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ও মোহাম্মদ কাওছার সুলতান ঘটনাস্থলে যান। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে থানায় ফিরে যান। পরে বিকালে মীমাংসার কথা বলে দুই শিশুসহ শরিফ-মনোয়ারা দম্পতিকে থানায় ডেকে নিয়ে হাজতে ঢোকানো হয়।

এ ব্যাপারে ধামরাই থানার এসআই মোহাম্মদ কাওছার সুলতান বলেন, পুলিশের জরুরি সেবা ট্রিপল লাইনে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। পরবর্তীতে মীমাংসার কথা বলে তাদের থানায় আনা হয়। এরপর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নির্দেশে তাদের আদালতে চালান করা হয়।

Share this post

scroll to top