খুলনায় মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি

1670753874.5566-1.jpg

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ……
মহান বিজয় দিবস-২০২২ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচির আলোকে খুলনা জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে।

প্রত্যুষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হবে। ওইদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
সকাল সাড়ে ৮টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। একই স্থানে সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিশু-কিশোর সংগঠন, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইডের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।

ওইদিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। জেলা ও উপজেলা সদরে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সমাবেশ, ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, ফুটবল, কাবাডি ও হা ডু ডু খেলার আয়োজন করবে। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিনেমা হলে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা টিকিটে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে। ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিস, পিআইডির আয়োজনে শহীদ হাদিস পার্কে মুক্তিযুদ্ধের ওপর স্থিরচিত্র প্রদর্শন করা হবে। ১৬ ডিসেম্বর খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর ও ফুলতলার দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত রাখা হবে। বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। দুপুরে হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা ও শিশুসদনসমূহে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। নৌ-বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য বিআইডব্লিউটিএ রকেটঘাটে দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উম্মুক্ত রাখা হবে।

১৬ ডিসেম্বর বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময়ে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী জনমত সৃষ্টির জন্য আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য এবং জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময়ে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে বিকেল ৩টায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা ও মহিলাদের ক্রীড়া অনুষ্ঠান এবং বিকেল সাড়ে ৩টায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে কেসিসি বনাম জেলা প্রশাসন একাদশের মধ্যে প্রদর্শনী ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

ওইদিন সন্ধ্যা ৬টায় খুলনা শহীদ হাদিস পার্কে ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। আলোচনা শেষে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হবে। ওইদিন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ নিবন্ধ, সাহিত্য-সাময়িকী ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন পতাকা দিয়ে সজ্জিত করা হবে। বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চ ঘাটে স্টিমার, লঞ্চ ও জাহাজ সজ্জিত করা হবে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গিলাতলা শিশুপার্ক, বয়রা শিশু পার্ক ও খালিশপুর ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশুপার্ক বিনা টিকিটে শিশুদের জন্য উম্মুক্ত রাখা হবে। ১৬ ডিসেম্বর শহীদ হাদিস পার্কে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দুর্লভ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। ১২ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় খুলনা কালেক্টরেট স্কুল কেন্দ্রে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কুইজ ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ১৪ ডিসেম্বর খুলনা শিশু একাডেমি শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। ১৬ ডিসেম্বর সুবিধাজনক সময়ে পূর্ব রূপসাঘাটে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমীনের মাজার প্রাঙ্গণে তার বীরত্ব ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top