শুরুতেই ‘মুসলিম বিশ্বের ঐক্য’র বার্তা দিলেন পেজেকশিয়ান

ezgif-5-f794de43f6-66e521122ea78.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: জুলাইয়ে নির্বাচিত হওয়ার প্রথম বিদেশ সফরে গত সপ্তাহে ইরাকে গিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেকশিয়ান। ইরানের রাজনীতিতে পেজেকশিয়ানকে ‘সংস্কারপন্থি’ ভাবা হলেও মুসলিম বিশ্বের ঐক্য দৃঢ় করার বার্তা দিচ্ছেন তিনি।

গত ১১ সেপ্টেম্বর ইরাকি প্রেসিডেন্ট আবদুল লতিফ রশিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পেজেকশিয়ান।সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে উন্মুক্ত সীমান্ত ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

এবার মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার বার্তা দিয়ে পেজেকশিয়ান বলেছেন, মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্যের মাধ্যমে কেবলমাত্র শত্রুরাই লাভবান হয়। শুক্রবার ইরাকের বসরা নগরীতে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আলেম-ওলামা ও শিক্ষাবিদদের এক সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশে পেজেকশিয়ান বলেন, ‘আমরা যদি নিজেদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখি তাহলে অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আমাদের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে। এ কারণেই শত্রুরা আমাদের মধ্যে ঐক্য চায় না এবং তাদের স্বার্থ আমাদের মধ্যকার মতপার্থক্য ও মতভেদের মধ্যে লুকিয়ে আছে।’

ইরানের প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘কাজেই যে কথা ও আচরণের মাধ্যমে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয় সেই কথা ও আচরণ শয়তানি আচরণ ছাড়া আর কিছু নয়।’

প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমাদেরকে অতীতের মুসলিম গৌরব ও মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা যদি সত্যিকার অর্থে পরস্পরের ভাই ভাই হয়ে যেতে পারি তাহলে ইহুদিবাদী ইসরাইল মুসলমানদের ওপর প্রতিদিন গণহত্যা চালাতে পারে না’।

সমাবেশে ইইউর মতো মুসলিম বিশ্বের একজোট হওয়ার তাগিদ তুলে ধরেন পেজেকশিয়ান।

‘ইউরোপীয়রা ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে করেছে। কিন্তু এখন তারা নিজেদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রেখে সীমান্তের বাধা প্রায় অপসারণ করে ফেলেছে’, যোগ করেন তিনি।

Share this post

scroll to top