ডেস্ক রিপোর্ট: ২০২১ সালের ১৫ আগস্টে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর আর কোনও দেশের সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়নি। এখন পর্যন্ত কেবল চীন আফগান তালেবান রাষ্ট্রদূতকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে। প্রায় তিন বছর পর এবার তালেবান-নিযুক্ত এক কূটনীতিককে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে গ্রহণ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
তালেবান-পরিচালিত পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মৌলবি বদরুদ্দীন হাক্কানি আফগান রাষ্ট্রদূত হিসাবে মনোনীত হয়েছেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রোটোকল বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারির কাছে তার পরিচয়পত্র জমা দিয়েছেন।
নবনিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূত শিগগিরই একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমিরের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তার পরিচয়পত্র পেশ করবেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
জানা গেছে, আবুধাবিতে আফগানিস্তানের দূতাবাস এবং দুবাইয়ের আফগান কনস্যুলেট অন্তত গতবছর থেকে তালেবান কূটনীতিকরা কাজ করছে। তবে এতোদিন আফগান কুটনীতিক হিসাবে তাদের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ছিল না। দেরিতে হলেও রাষ্ট্রদূত গ্রহণের মধ্য দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের একরকম স্বীকৃতিই পেল তালেবান সরকার।
গত সপ্তাহে, সংযুক্ত আরব আমিরাত-তালেবান সম্পর্কের অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়। আমিরাতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে গিয়েছিলেন আমিরাতের শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
এছাড়া জুনে আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানি আমিরাত সফর করেন। অথচ একটা সময় এই সিরাজুদ্দিন হাক্কানিকে গ্রেপ্তারের জন্য তথ্য দিতে ১০ মিলিয়ন পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
শুধু এবার নয়, এর আগের তালেবান সরকারকেও স্বীকৃতি দিয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। ১৯৯৬-২০০১ সালের তালেবান শাসনকে যে তিন দেশ স্বীকৃতি দিয়েছিল তার মধ্যে ছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।