ডেস্ক রিপোর্ট: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার গণমিছিলে গুলি হওয়ায় এবং সে গুলিতে ডান চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়া জসিমের পরিবারের এখন নেমে এসেছে কালো মেঘের ছায়া। জসিম কাজ করে আয়-রোজগারের মাধ্যমে গরিব মা-বাবার অভাব-অনটনের সংসারের হাল ধরবে এমন আশা এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
আহত জসিম (১৭) শেরপুর সদর উপজেলার শিমুলতলী গ্রামের মো. জিয়াউল হক ও ফরিদা বেগম দম্পতির ছেলে। জসিমের বাবা জিয়াউল হক বলেন, ‘আমি অহন শিমুলতলী গ্রামে চার শতাংশ জমি কিইনা একটা টিনশেড ঘর কইরা বসবাস করতাছি। বাড়িভিটার চার শতাংশ জমি ছাড়া আমার আর কোনো সম্পত্তি নাই। আমার দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে মেয়েটা বড়। জসিম ছেলেমেয়ের মধ্যে দ্বিতীয়। মেয়ে জীবন আক্তারকে বিয়ে দিছি। ১২ বছরের ছোট ছেলে ওয়াসীম স্থানীয় চরপক্ষীমারী উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। আমি ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করি। বিভিন্ন স্থানে গিয়ে কাজ করি। ছেলে জসিমও কিছুদিন ধরে আমার সঙ্গে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করে। সে আহত হওয়ার পর থাইকা কামকাইজ সব বন্ধ। ধারকর্জ কইরা প্রায় ৬০ হাজার টেহা এ পর্যন্ত ছেলের চিকিৎসার পেছনে খরচ অইছে। বর্তমানে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছি। আমার অনুরোধ, জসিম যাতে সুস্থ শরীর নিয়ে আগের মতো কামকাইজ করতে পারে সেই ব্যবস্থাডা যাতে সরকার করে দেয়।’