কোটা আন্দোলন, দুই মুক্তিযোদ্ধার নাতির ‘কাণ্ড’

image-826077-1720508151.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) মুক্তিযোদ্ধার নাতিকে আরেক মুক্তিযোদ্ধার নাতি হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা দুইজনই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আন্দোলনকারী তালাত মাহমুদ রাফির বাবার নম্বরে কল দিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।  তিনি নাট্যকলা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। হুমকির বিষয়ে রাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া রাফি বলেন, রোববার রাতে অজ্ঞাত নম্বর থেকে আমার আব্বুকে কল দিয়ে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। ওই ব্যক্তি আমার বাবাকে বলেন, আপনার ছেলেকে যদি কোটা আন্দোলন থেকে সরে যেতে না বলেন তাহলে হয়তো আপনার ছেলেকে আর পাবেন না, তার লাশটা পাবেন। দেখা যাবে যে কোথাও না কোথাও মেরে ফেলে রাখা হয়েছে। পরে লাশটা অ্যাম্বুলেন্সে করে পাঠানো হবে। আব্বু পরিচয় জানতে চাইলে লোকটি বলে, তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন ও ক্যাম্পাসেই থাকেন। এটা বলে ফোন কেটে দেন।

রাফি বলেন, যে নম্বর থেকে কল করা হয়েছিল সেটি নিয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। আন্দোলনে আমার সহযোগীরা ওই ফোন নম্বরটা যাচাই করে ও বিভিন্নভাবে জানতে পেরেছি, সেটা নাট্যকলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের হৃদয় আহমেদ রিজভী নামে এক শিক্ষার্থীর। তার সঙ্গে আমার কোনো পূর্ব পরিচয় ছিল না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত রিজভী শাখা ছাত্রলীগের চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) উপগ্রুপের অনুসারী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম সংগঠনের সদস্য।  তিনি মুক্তিযোদ্ধার নাতি।

তবে অভিযুক্ত হৃদয় আহমেদ রিজভী বলেন, আমি রাফিকে বিভাগের ছোটভাই হিসেবে চিনি। সে একদিন এসে পরিচিত হয়েছিল। তবে হুমকির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এমনকি আমি ক্যাম্পাসেও নেই। ঈদের আগ থেকে বাড়িতে অবস্থান করছি। রাফি নিজেও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের একজন সদস্য।

তিনি আরও বলেন, রোববার অপরিচিত একটা নম্বর থেকে কল দিয়ে ইনান ভাইয়ের (ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক) ছোটভাই পরিচয় দিয়ে আমাকে রাফির সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিতে বলা হয়।

তবে তার দাবির (ওই ফোন কল) ব্যাপারে সন্তোষজনক প্রমাণ দেখাতে পারেননি তিনি।

রাফি নিজেও মুক্তিযোদ্ধার নাতি। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ব্যাপারে আন্দোলনকারী রাফি বলেন, মনে হচ্ছে এটা মেধাবীদের জন্য বিরাট বৈষম্য। তাই আন্দোলন করছি।

Share this post

scroll to top