খুলনায় কাঁচামরিচের কেজি ২৮০, বেড়েছে ব্রয়লারেরও

hili-20220806155035.webp

নিজস্ব প্রতিবেদক…..
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে খুলনার বাজারে চোখ রাঙাচ্ছে কাঁচামরিচ। খুচরা বাজারে প্রকারভেদে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৮০ টাকা। বেড়েছে ফারমের মুরগির দামও। শনিবার (৬ আগস্ট) খুলনার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটা জানা যায়।

নগরীর পিটিআই মোড়ের কাঁচামাল বিক্রেতা রেজাউল করিম বলেন, ‘গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাঁচামরিচ পাইকারি ২২০-২৫০ টাকা আর খুচরা ২৫০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর আগে প্রতি কেজি মরিচ ২০০ টাকায় বিক্রি করেছি। দাম বাড়ায় এ পণ্যটির বিক্রিও কমে গেছে।’

একই বাজারের আরেক ব্যবসায়ী মোতালেব ঢালী বলেন, ‘আড়তে আসা মরিচের দাম বাড়তি। এক পাল্লা (৫ কেজি) কিনতে এখন হাজার টাকারও বেশি গুনতে হচ্ছে।’

দাম বাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘বাজারে দেশি মরিচের উৎপাদন কম আবার ভারত থেকেও মরিচ আসছে না। তাই এর বাজার মূল্য বেশি। তাই প্রকারভেদে পাইকারি ২২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করছি।’

ময়লাপোতা সান্ধ্য বাজারের ব্যবসায়ী ছগির হোসেন বলেন, ‘গত চার মাস যাবত এলসির মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। অল্প অল্প করে বেড়েছে মরিচের দাম। সপ্তাহ খানেক আগে এলসির মরিচ বোঝাই কয়েকটি ট্রাক এসেছিল, সে সময় এর দাম কমেছিল। কিন্তু এখন বাড়তি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে যেসব জায়গায় মরিচের চাষ হয়, বৃষ্টির অভাবে ওইসব অঞ্চলের গাছ মারা গেছে। ফলে ঝালের সংকট দেখা দিয়েছে। এর দাম কমাতে হলে ভারত থেকে মরিচ আমদানি করতে হবে। না হলে দাম আরও বেড়ে যাবে।’
সোনাডাঙ্গা পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী মো. কবির আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘চারদিন ধরে বাজার উর্ধ্বমুখী। প্রতি কেজি মরিচ ২২০ থেকে ২৫০ টাকা দরে পাইকারি বিক্রি করছি। ফরিদপুর জেলা, মধুখালী ও বোয়ালমারী এলাকা থেকে কাঁচামরিচ আমদানি করা হয় এখানে। ওই এলাকায় মরিচের সংকট দেখা দিয়েছে।’

সংকটের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর এ সময় বৃষ্টির কারণে গাছ মারা যায়। ফলে বৃদ্ধি পায় মরিচের দাম। অন্য বছরে এ সময় ভারত থেকে মরিচ আমদানি করা হয়। কিন্তু এ বছর সেখানে দাম বেশি থাকায় কাঁচামরিচ অনেকেই আনছেন না।’

নগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী লিপু, মনির, বাবু, বাদশা জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। গত সপ্তাহে ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও শুক্রবার থেকে ১৫০ টাকা দাম নেওয়া হচ্ছে।

এ ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, জানতে পেরেছি প্রচণ্ড গরমে ফারমের মুরগির মৃত্যুহার অনেকে বেড়েছে। মুরগি মারা যাওয়ায় খামারিদের বিপুল পরিমাণ লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে তারা ব্রয়লারের দাম বাড়িয়েছে।

এদিকে বাজারে অন্য সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে বলে একাধিক ব্যবসায়ীর সূত্রে জানা গেছে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top