খুলনা ব্যুরো :
খুলনা সিটি করপোরেশনের অপসারিত মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক ও তার স্ত্রী বাগেরহাট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহারের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খুলনার সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানী কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম জানান, খুলনা সিটি করপোরেশনের অপসারিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণে আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত চলমান।
এমতাবস্থায়, তিনি ও তার স্ত্রী বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে দুদকের কাছে তথ্য আসে। এ কারণে ১৩ মে খুলনার মহানগর স্পেশাল জজ আদালতে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়। গত ১৫ মে আদালত আবেদন গ্রহণ করে তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। পরে আদালতের আদেশের কপি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক এবং বিশেষ পুলিশ সুপার ইমিগ্রেশনের কাছে পাঠানো হয়।
এর আগে ২৪ মার্চ তালুকদার আবদুল খালেক ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব জব্দ করে দুদক। খালেক ও তার স্ত্রী হাবিবুন নাহার এখনো দেশেই আছেন বলে মনে করছেন দুদক কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট থেকে খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক এবং তার স্ত্রী বাগেরহাট-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার পলাতক রয়েছেন।
তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বাঁধা, গুলি চালানো ও হত্যা মামলা হয়েছে। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি নাশকতার মামলাও হয়েছে। ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত চলছে। অভিযোগ রয়েছে রাজস্ব ফাঁকি, দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতি করে তারা গড়ে তুলেন সম্পদের পাহাড়। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে লাগামহীন দুর্নীতি এবং অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করা ছিল তালুকদার আব্দুল খালেকের প্রধান কাজ।