খুলনার দর্পণ ডেস্ক : খুলনা নগরীর উত্তর কাশিপুরের ক্রিকেট মাঠ। জীবনের শুরুতে যে মাঠে নিয়মিত অনুশীলন আর ছোট ছোট টুর্নামেন্ট খেলে মানুষকে চমৎকৃত করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন বার বার। ক্রিকেট নিয়ে ভাবনা যার সারাক্ষণ; বলতে গেলে ক্রিকেটই যার ধ্যান-জ্ঞান। জাতীয় ক্রিকেট দলের সেই তারকা খেলোয়াড় মেহেদী হাসান মিরাজ শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি বিজড়িত সেই মাঠে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে আয়োজন করেছেন ২৮ দলীয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টের।
এই আয়োজনের শুরুর দিন গতকাল শনিবার উৎসাহ-উদ্দীপনার কোনো কমতি ছিল না আয়োজক, খেলোয়োড় ও দর্শকদের মাঝে। মেহেদী হাসান মিরাজ নিজে উপস্থিত থেকে উৎসাহ জুগিয়েছেন তরুণ উদীয়মান খেলোয়াড়দের। তিনি মনে করেন, এ ধরনের আয়োজনে তরুণদের মধ্যে যেমন ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহের সৃষ্টি হবে, তেমনি দেশের জন্য নতুন নতুন খেলোয়াড় তৈরিতে সহায়ক হবে।
কাশিপুর ক্রিকেট একাডেমির আয়োজনে শুরু করেছেন এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। সেখানে থেকে ক্রিকেট জীবনের শুরু সেই সংগঠনের এখন তিনি সভাপতি। উদ্বোধনী দল ক্রিকেট ডট কম ও তানিসা আবাসিক প্রকল্পের দলের খেলার শুরুতে তিনি মাঠে থেকে খেলোয়াড়দের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন। এসময় তিনি বল করে খেলার শুভ সূচনা করেন। এমন আয়োজনে দূর দুরান্ত থেকে আসা তরুণ ক্রিকেটাররা আগামীতে ভালো কিছু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ছোট মাঠে এমন বড় আয়োজন তাও আবার ঘরের ছেলে জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের হাত ধরে। তাই আয়োজনে উচ্ছ্বসিত দর্শকদেরও কোনো কমতি ছিল না। যারা মাঠে থেকেই এতো বড় আয়োজন প্রাণভরে উপভোগ করেছেন।
ছোটবেলাকার সেই মাঠে স্ত্রী, ছেলে ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উদীয়মান খেলোয়াড়দের খেলা উপভোগ করেন মিরাজ। এসময় তিনি জীবনে চলার পথে নানা বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হয়ে তা থেকে বেরিয়ে আসার আবেগময় অনুভূতি ব্যক্ত করেন অকপটে। এমন আয়োজনে খুলনাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে ক্রিকেটের জন্য আগামীতে ভালো ভালো খেলোয়াড় তৈরি হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন জাতীয় দলের স্বনামধন্য এই খেলোয়াড়। নক আউট পর্বে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে টুর্নামেন্ট। যা চলবে মাসব্যাপী। এর আগে সকালে অতিথি থেকে খেলার উদ্বোধন করেন বিসিবি’র নির্বাহী পরিষদের সদস্য অ্যাডঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম।