লেবাননে ইরানি বিমানের প্রবেশে বাধা, হিজবুল্লাহ বলল ‘সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন’

ezgif-41a2920273cbc4-67b0488377287.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: বৃহস্পতিবার লেবাননের বৈরুতের রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি পায়নি ইরানের একটি বিমানের ফ্লাইট। এর ফলে তেহরানে আটকে পড়ে বেশ কয়েকজন লেবানিজ নাগরিক। এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে হিজবুল্লাহ।

হিজবুল্লাহর মিডিয়া অফিস এই ঘটনার প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং লেবানিজ নাগরিকদের বিদেশে আটকে পড়ার পরিস্থিতি নিন্দা করেছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী ইরানি বিমানটিকে লক্ষ্য করার হুমকি দেয়, এ কারণে লেবানন কর্তৃপক্ষ বিমানটি অবতরণ করতে দেয়নি।

লেবানিজ পার্লামেন্টের সদস্য ইব্রাহিম আল-মুসাউই ইসরায়েলের এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেন এবং বলেন, ‘জায়নিস্ট শত্রু  লেবাননের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পাওয়ার কারণে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে’।

তিনি সকল লেবানিজ নাগরিককে এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকেও রাফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরাইলি হামলা প্রতিরোধে দায়িত্ব পালন করতে হবে’।

মুসাউই আরও বলেন, কোনও অবস্থাতেই লেবানন ইসরাইলি হুমকির কাছে নত হওয়া উচিত নয়।  তিনি জনগণকে শান্তি ও দায়িত্বশীলতার সাথে নিজেদের বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে প্রকাশ করতে উত্সাহিত করেছেন।  এদিকে, লেবানিজ নাগরিকরা বিমানটির অবতরণ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে আসেন।

তারা বিমানবন্দরের কাছে সমবেত হয়ে আমেরিকা আমাদের শাসন করতে পারে না বলে শ্লোগান দেন।  স্থানীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, রফিক হারিরি বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষ তেহরান-বৈরুত ফ্লাইটটির অবতরণের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছে।

আরব নিউজ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৈরুতের আকাশে ইসরাইলি যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা গেছে।  অন্যদিকে, লেবানন ও ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈরুত থেকে ফিরতে ইচ্ছুক লেবানিজ যাত্রীদের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।  লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউসুফ রাজ্জি বলেন, ‘তেহরানে লেবাননের রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া চলছে।’

বৃহস্পতিবার রাতে বৈরুত বিমানবন্দরের রাস্তাগুলো বিক্ষোভকারীদের অবরোধের কারণে বন্ধ হয়ে যায়, যা পরে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরে খুলে দেওয়া হয়।

হিজবুল্লাহর শত শত সমর্থক রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে এবং অভিযোগ করে ‘লেবাননের সরকার ইসরাইলি ও মার্কিন চাপে নতি স্বীকার করেছে’।

ইসরাইলি সামরিক মুখপাত্র আবিখাই আদ্রাই দাবি করেন, ‘কুদস ফোর্স ও হিজবুল্লাহ বৈরুত বিমানবন্দরকে অর্থ পাচারের জন্য ব্যবহার করছে।’

এই প্রেক্ষিতে লেবাননের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানায়, বৈরুত বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই বাস্তবায়িত হবে।

ফেব্রুয়ারি ১৮ পর্যন্ত ইরানের ফ্লাইট সূচিতে সাময়িক পরিবর্তন আনা হয়েছে।

একজন রাজনৈতিক সূত্র জানায়, ‘প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, উড়োজাহাজটি হিজবুল্লাহর জন্য অর্থ বহন করছিল, যা নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি করেছে।’

Share this post

scroll to top