হানিয়া হত্যার প্রতিশোধ নেওয়া তেহরানের কর্তব্য: খামেনি

image-832317-1722419391.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যার পর ইসরাইলকে ‘কঠোর শাস্তির’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সাহসী ও বিশিষ্ট ফিলিস্তিনি মুজাহিদিন নেতা ইসমাইল হানিয়ান শাহাদাতে প্রতিরোধ ফ্রন্ট শোকে মুহ্যমান।  অপরাধী ও সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী সরকার আমাদের গৃহে আমাদের প্রিয় মেহমানকে শহীদ করেছে এবং আমাদের শোকাহত করেছে, কিন্তু এরসঙ্গে তারা নিজেদের জন্য কঠোর শাস্তির ক্ষেত্রও প্রস্তুত করেছে।

খামেনি বলেন, শহীদ হানিয়া তার মূল্যবান জীবন বহু বছর সম্মানজনক সংগ্রামের ময়দানে নিজের হাতে তুলে নিয়ে শাহাদাতের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। আর এই পথেই তিনি তার সন্তান ও জনগণকে উৎসর্গ করেছিলেন।  তিনি আল্লাহর পথে শহীদ হতে এবং আল্লাহর বান্দাদের রক্ষা করতে ভয় পাননি। কিন্তু আমরা আমাদের অঞ্চলে ঘটে যাওয়া এই তিক্ত ও কঠিন ঘটনায় তার রক্তের প্রতিশোধ নেওয়া আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি।

তিনি আরও বলেন, আমি সমবেদনা জানাচ্ছি মুসলিম উম্মাহর প্রতি, প্রতিরোধ ফ্রন্টের প্রতি, ফিলিস্তিনের সাহসী ও গর্বিত জাতির প্রতি এবং বিশেষ করে শহীদ হানিয়া ও তার সঙ্গে শহীদ হওয়া তার এক সঙ্গীর পরিবার ও বেঁচে যাওয়াদের প্রতি। আর আমি মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার ঘটনাটি ঘটে।

হানিয়া ইরানের প্রেসিডেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য ইরান সফরে যান, তিনি তেহরানের উত্তরে একটি বাসভবনে অবস্থান করেছিলেন।

ইসমাইল হানিয়া ২০১৭ সালে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান নির্বাচিত হন। পরের বছর তাঁকে ‘সন্ত্রাসী’ তকমা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

চলতি বছর হামাসের রাজনৈতিক প্রধান হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হন ইসমাইল হানিয়া। ২০১৭ সাল থেকে হামাসের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী হানিয়া গাজা, ইসরাইল-অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং প্রবাসে হামাসের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন। গত দুই বছর ধরে তিনি তুরস্ক ও কাতারে বিভিন্ন সময় থেকেছেন।

Share this post

scroll to top