এবার সীমান্তে পুলিশি তল্লাশি বসাচ্ছে নেদারল্যান্ডস

Untitled-1-673584e56506f.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট:  প্রতিবেশী জার্মানিকে অনুসরণ করে অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে আগামী ৯ ডিসেম্বর থেকে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি পুলিশি তল্লাশি শুরু করতে যাচ্ছে নেদারল্যান্ডস৷ প্রতিবেশী প্রতিটি দেশের সঙ্গে থাকা সীমান্তে এই ব্যবস্থা আরোপ করতে যাচ্ছে শেঙেনভুক্ত এই দেশটি৷

নেদারল্যান্ডসের হেগ শহর থেকে গত সোমবার এ ঘোষণা দিয়েছেন অতি-ডানপন্থি হিসাবে পরিচিত ডাচ আশ্রয় বিষয়ক মন্ত্রী মারিওলাইন ফেবার৷

তিনি বলেন, অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ও অভিবাসী পাচার ঠেকাতে সীমান্ত পুলিশের মোবাইল টিমকে সীমান্তের প্রবেশমুখে মোতায়েন করা হবে৷

ব্যক্তিগত এবং পণ্যবাহী গাড়িগুলোর অবাধ যাতায়াতে যেন বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেয়া হবে বলেও জানান তিনি৷

মূলত চলতি নভেম্বর থেকে সীমান্ত নজরদারি বাড়ানোর কথা বলেছিল দেশটির সরকার৷ শেষ পর্যন্ত ৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এই সীমান্ত তল্লাশি৷ মারিওলাইন ফেবার জানিয়েছেন, শুরুর দিন থেকে পরবর্তী ছয় মাস কার্যকর থাকবে এই তল্লাশি৷

ইউরোপীয় সীমান্ত আইন মেনেই এই সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ বা তল্লাশি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর৷ তল্লাশি শুরু করার অন্তত চার সপ্তাহে আগে যৌক্তিক কারণসহ বিষয়টি বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে জোটের সদর দপ্তরে জানাতে হয়৷

এক বিবৃতিতে আশ্রয় বিষয়ক মন্ত্রী মারিওলাইন ফেবার আরো বলেছেন, ‘‘দক্ষতার সঙ্গে অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ এবং অভিবাসী পাচার ঠেকানোর এটিই উপযুক্ত সময়৷ এ কারণেই আমরা ডিসেম্বরের শুরুর দিক থেকে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ আবারও চালু করতে যাচ্ছি৷’’

সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে দেশটির সীমান্তবর্তী পৌর কর্তৃপক্ষগুলো৷ এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেছে, এটি একটি আত্মঘাতী এবং অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত৷

তারা আরো উল্লেখ করেছে, জার্মানিতে সীমান্ত তল্লাশির কারণে যানজট এখন নিয়মিত ঘটনা এবং দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে৷ সীমান্তে ধীরগতির কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে পরিবহণ সংস্থাগুলো৷

আশ্রয় আইন কঠোর করতে ডাচ সরকার যে পরিকল্পনা নিয়েছে সীমান্ত তল্লাশি তারই একটি অংশ৷ আর এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে গেয়ার্ট ভিল্ডার্সের অতি-ডানপন্থি ও মুসলিমবিরোধী দল পিভিভি-সহ জোট সরকারে থাকা চারটি দল৷

সিরিয়ার কিছু অংশকে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে, সেখানে সিরীয় শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোসহ আরো কিছু পরিকল্পনা রয়েছে নেদারল্যান্ডস সরকারের৷ যেসব আশ্রয়প্রার্থীর আশ্রয় আবেদন মঞ্জুর হয়নি তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানো এবং যেসব শরণার্থীর বসবাসের অনুমতি রয়েছে তাদের কন্টেইনার দিয়ে বানানো ঘরে রাখারও পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার৷

পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পার্লামেন্টের দুই কক্ষে ভোটাভুটির দিকে তাকিয়ে আছে সরকার৷ পার্লামেন্টে পরিকল্পনাগুলো পাস হলেই তা কার্যকর করা হবে৷

Share this post

scroll to top