ডেস্ক রিপোর্ট: রাত পোহালেই অনুষ্ঠিত হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। চলমান নানা বৈশ্বিক ইস্যূতে এবারের নির্বাচন মার্কিনিদের পাশাপাশি সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ব রাজনীতিতেও। তাই গোটা বিশ্বের নজর এখন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিকে। কে হবেন নতুন প্রেসিডেন্ট, তা নিয়ে চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ।
দেশটির এবারের নির্বাচনে ব্যাপকভাবে সামনে আসছে গাজা সংকট। কারণ, আমেরিকান মুসলিম ভোটাররা সবকিছুর আগে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন এই বিষয়টির ওপরই। গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যে প্রার্থী ভূমিকা রাখবেন, তাকেই ভোট দেওয়ার কথা ভাবছেন মুসলিম ভোটাররা।
এসব কারণে নিজ শিবিরে সম্ভাব্য সব ভোটারদের ভোট কুড়াতে মরিয়া হয়ে শেষ মুহূর্তে এসেও জোরালো অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন দুই প্রার্থী। ডেমোক্রেট দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস মিশিগানের স্টেট ইউনিভার্সির প্রচারাভিযানে ভাষণ দিয়েছেন। সেখানে তিনি ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধে নিজের সব শক্তি বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, আমি গাজায় যুদ্ধের ইতি টানতে নিজের সর্বশক্তি বিনিয়োগ করবো। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, মিশিগানের জনসভায় একদম সরাসরি এই ঘোষণা দিলেন কমালা। যুক্তরাষ্ট্রের এই রাজ্যটিতে আরব-আমেরিকান বংশোদ্ভূত ভোটারের সংখ্যাই বেশি। তাদের উদ্দেশ্য করে কমালা গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে নিজের সকল প্রচেষ্টার বিষয়ে আগাম বার্তা তুলে ধরেন। মূলত সেখানে আরব-মার্কিন বংশোদ্ভূত নাগরিকদের ভোটের হিস্যা পেতেই এমন ঘোষণা দিয়েছেন কমলা হ্যারিস। কেননা গত শুক্রবার আরব-আমেরিকানদের সামনে হাজির হয়েছিলেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহৎ আরব-আমেরিকান জনবহুল এলাকা ডেয়ারবর্ন শহরে সফর করেন তিনি। সেখানে তিনি গাজায় যুদ্ধের পেছনে ডেমোক্রেটদের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
এ বিষয়টিকে পুঁজি করে ট্রাম্প বলেছেন, ইসরাইলকে আর্থিকভাবে সুবিধা দিয়েছে ডেমোক্রেটরা।