ডেস্ক রিপোর্ট: আগৈলঝাড়ার বাগধা গ্রামের আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে সান্টু মিয়া। প্রবাসী মেয়েকে বিয়ে করে মালয়েশিয়ায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তার সুখের সংসার ছিল। সব হারিয়ে সান্টু এখন মালয়েশিয়ায় খেয়ে না খেয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করছেন। দীর্ঘদিনেও সান্টুর কোনো খোঁজ পাননি বাংলাদেশে থাকা তার পরিবারের লোকজন।
জানা গেছে, সান্টু মিয়া ১৯৯৩ সালে মালয়েশিয়া যান। সেখানে একটি কোম্পানিতে কাজ করে গ্রামের বাড়িতে অর্থ প্রেরণসহ নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন। কিছুদিন পর মালয়েশিয়ার নাগরিক এক মেয়েকে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। এর কিছুদিন পরে স্ত্রীর ভাইয়েরা নেশা করার অভিযোগ এনে সান্টু মিয়াকে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেন। এ দিকে সান্টু মিয়া প্রথম যে কোম্পানির ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন ওই কোম্পানির কাছে তার পাসপোর্ট জমা থাকায় নতুন করে অন্য কোম্পানির কাজে যোগদান করতে পারেননি। এরপরই সান্টু মিয়ার শুরু হয় ভবঘুরে জীবনযাপন। এ কারণে একাধিবার গ্রেফতার হয়ে জেলে গিয়েছিলেন। সান্টু মিয়ার বড় ভাই সেলিম মিয়া বলেন, পাসপোর্ট না থাকা এবং রোহিঙ্গা ইউএন কার্ড থাকার কারণে সান্টু মিয়া দেশে আসতে পারছে না।