বিক্ষোভ-সংঘাতে থমথমে মণিপুর, রাজ্য ছেড়ে পালালেন গভর্নর

56888-66e25ccd8ecfa.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: কারফিউ চলাকালে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের পর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যের পরিস্থিতি এখন আরও থমথমে। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। এরই মধ্যেই বুধবার মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল ছেড়ে আসামের গুয়াহাটিতে পালিয়েছেন গভর্নর লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য।

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মণিপুরে বন্দুকযুদ্ধ, ড্রোন ও রকেট হামলায় এখনো পর্যন্ত ১১ জন নিহত হয়েছেন। তার জেরে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে রাজ্যের তিন জেলায় কারফিউ জারি করা হয়। এ ছাড়া ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গোটা রাজ্যের ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। তাই পুরো বিশ্ব থেকেই এখন কার্যত বিচ্ছিন্ন মণিপুর। তাই সেখানে আসলে হচ্ছেটা কী?

বুধবার কারফিউয়ের মধ্যে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা গভর্নরের বাসভবন অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ৫০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর মণিপুরের গভর্নর লক্ষ্মণ প্রসাদ আচার্য বুধবার ইম্ফল থেকে গুয়াহাটি পালিয়েছেন। তিনি সকাল ১০টার দিকে ইম্ফল ছেড়ে যান। লক্ষ্মণ প্রসাদ আসামের গভর্নর হলেও অতিরিক্ত হিসেবে মণিপুরের দায়িত্বও পালন করেন। তবে এর বেশি তথ্য দিতে চাইনি ভারতীয় কর্মকর্তারা।

জানা যায়, বুধবার আসাম রাইফেলসের একাধিক ঘাঁটিতে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় কুকিরা। মণিপুর থেকে সেনাদের সরে যাওয়ার দাবি তাদের। কয়েক অঞ্চল থেকে বিক্ষোভে সহিংসতার খবরও মিলেছে।

এদিকে সংঘাতে উত্তাল মণিপুর নিয়ে ফের প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর পদত্যাগ দাবি করেছে বিরোধী দল কংগ্রেস।

এক সংবাদ সম্মেলনে মণিপুর কংগ্রেসের প্রধান কে মেঘাচন্দ বলেন, সরকার মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। ১৬ মাসে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মৌনতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস। গেল প্রায় দেড় বছরে ইউক্রেনসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে সফর করলেও সংঘাতে জর্জরিত মণিপুরে আসেননি প্রধানমন্ত্রী।

Share this post

scroll to top