সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে ওয়াশিংটন

image-846297-1725317757.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন এবং ঢাকার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক আরও জোরদার করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ। ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এমন মনোভাবের কথা তুলে ধরেন।

সাক্ষাৎকালে লাফেভ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানাতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র আনন্দিত। আগামী দিনে ঢাকা ও ওয়াশিংটন আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস চলতি সপ্তাহে কনস্যুলার সেবা পুনরায় চালু করবে। কয়েক হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছেন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম, আইনের শাসন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠভাবে সহায়তা করবে বলে উল্লেখ করেন হেলেন লাফেভ। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন যুক্তরাষ্ট্রে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন ইতোমধ্যে শুরু করেছে এবং তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ প্রক্রিয়া আরও দ্রুততর হবে। এ বছর যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর ফলে রোহিঙ্গাদের মাসিক খাদ্য সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি রোহিঙ্গাদের জীবিকার সুযোগ তৈরি করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকায় প্রধান উপদেষ্টা ওয়াশিংটনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বহুমাত্রিক সহায়তার ক্ষেত্রে কক্সবাজারের ক্যাম্পে বসবাসরত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো। এ সময় অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দাতাগোষ্ঠীকে একটি ‘কমন প্ল্যাটফরম’ গঠন এবং সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার আমূল সংস্কার কার্যক্রম সম্পাদনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের ওই কূটনীতিককে বলেন, একটি যৌক্তিক সময় পরে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সাক্ষাৎকালে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘুদের বিষয় নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিক ‘সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত’ এবং অন্তর্র্বর্তী সরকার সব নাগরিকের মানবাধিকার সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সাক্ষাৎকালে মানবাধিকার ইস্যু, সাইবার সিকিউরিটি আইন, র‌্যাব ও বিভিন্ন পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

লাফেভ জানান, ন্যায়বিচার নিশ্চিতের লক্ষ্যে তার সরকার বাংলাদেশে একটি প্রসিকিউটোরিয়াল সার্ভিস স্থাপনে সহায়তা করার চেষ্টা করছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়।

Share this post

scroll to top