আয় বেড়েছে সেখ জুয়েলের, নগদ টাকা বেড়েছে ননীর

Untitled-15-copy.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : খুলনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপল ম-ল ও খুলনা-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। হলফনামায় সম্পত্তির বিষয়ে যা তথ্য দিয়েছেন তা যাচাই করে দেখা যায়, ২০০৮ সালে ননী গোপাল ম-লের নগদ টাকার তুলনায় বর্তমানে নগদ টাকা বেড়েছে অনেক। এছাড়া সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের ২০১৮ সালের তুলনায় বার্ষিক আয় বেড়েছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের বার্ষিক আয় ছিল ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। বর্তমানে তার বার্ষিক আয় ৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা। বার্ষিক আয়ের মধ্যে বাড়ি ভাড়া থেকে তিনি ৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা, শেয়ার থেকে ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা ও ব্যাংক থেকে মুনাফা ৬০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা আয় করেন। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে হাতে নগদ রয়েছে ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ১৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, এক কোটি টাকার এফডিআর, তিনটি কোম্পানির শেয়ার আছে ২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র এবং কার্গো ব্যবসায় তার বিনিয়োগ ১০ কোটি ২১ লাখ টাকা। তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে পূর্বাচল নিউ টাউনে ১০ কাঠা জমি এবং গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ৭টি এবং খুলনার দিঘলিয়ায় দশমিক ৩৮ একর জমি রয়েছে এবং ঢাকায় ৩টি ফ্ল্যাটের মালিক তিনি। ২০১৮ সালে তার ব্যাংক ঋণ ছিল ২৯ কোটি টাকা। বর্তমানে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে তার ঋণ রয়েছে ৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
অপরদিকে খুলনা-১ (বটিয়াঘাটা-দাকোপ) আসন থেকে ২০০৮ সালে মনোনয়ন পেয়েছিলেন ননী গোপাল ম-ল। প্রায় ১০ বছর পর আবার তাকে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। হলফনামায় দেখা গেছে, ধান, তরমুজ ও মাছ উৎপাদন ও বিক্রিকে পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। তার বার্ষিক আয় ১৭ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা। আয়ের পুরোটাই আসে কৃষি খাত থেকে। ২০০৮ সালে তার বাৎসরিক আয় ছিল প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। ননী গোপালের বর্তমানে অস্থাবর সম্পদের মধ্যে হাতে নগদ ৩০ লাখ ১৩ হাজার টাকা এবং ব্যাংকে রয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। উপহার হিসেবে পাওয়া ১৫ ভরি স্বর্ণের মালিক তিনি। ২০০৮ সালে তার নগদ টাকা ছিল ২৫ হাজার। এছাড়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে পৈত্রিক সূত্রে ৪ দশমিক ১৮ একর কৃষি জমি ছাড়াও ছোট ছোট ভাগে আরও অনেক কৃষি জমি রয়েছে তার। এছাড়া ১০ কাঠা অকৃষি জমি, ৬৬ শতক জমিসহ একটি ভবন, ৩২ শতক জমির ওপর পৈত্রিক বাড়ি, সাড়ে ৩ একর আয়তনের একটি মৎস্য খামারের মালিক তিনি। তার স্ত্রীর নামে কৃষি জমি রয়েছে ৩ দশমিক ৩৪ একর।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top