সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট…….
খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশকে কেন্দ্র করে জেলা পর্যায়ে বাস বন্ধের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
রোববার (১৬ জুলাই) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাব লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ তুলেন।
তিনি বলেন, দেশ বাঁচাতে সোমবার (১৭ জুলাই) খুলনায় তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির মহাসচি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরই মধ্যে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছি। সরকার সমাবেশে নানা কায়দায় বাধা দেয়। কিন্তু জনশ্রোতের কাছে, তরুণ সমাজের কাছে কোনো বাধা টিকে থাকে না। বিগত সমাবেশগুলোতে সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে বাংলাদেশের তরুণসমাজ সেটি সফল করেছে। প্রশাসনের কিছু অতি উৎসাহী ব্যক্তি জেলা পর্যায়ে বাস বন্ধের চেষ্টা করছে। শুভবুদ্ধির উদয় হবে তাদের। তারা এ কাজ থেকে বিরত থাকবে। কারণ সভা-সমাবেশে বাধা দেওয়ার দায়িত্ব তাদের না। তারা রাষ্ট্রের কর্মকর্তা-কর্মচারী। এ রাষ্ট্রটি সবার কোনো দলের না। কাজেই বৈষম্যমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকবেন। আমাদের গণতান্ত্রিক সভা সমাবেশে আপনারা সহযোগিতা করবেন। আমাদের চারটি সমাবেশ হয়েছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ আমরা করেছি। কোথাও আমাদের সমাবেশে কোনো ঝামেলা হয়নি। বরং ‘শান্তির নামে যারা সমাবেশ করে তাদের ১২ জুলাইয়ের সমাবেশেই দেখা গেছে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করেছে, তারা অশান্তিতে লিপ্ত হয়েছে। কাজেই আমাদের সমাবেশ সবসময় শান্তিপূর্ণ।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, মানুষ ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। নির্যাতন-নীপিড়নের শিকার তরুণ সমাজের পক্ষে মাঠে নেমেছি। তরুণ সমাজকে আহ্বান জানিয়েছি আমার ভোট আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দিব। তরুণরা যখন কোনো দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছে, তখন তরুণদের বিজয় হয়েছে। ন্যায়সঙ্গত দাবি নিয়ে আমরা মাঠে নেমেছি, বিজয় আমাদেরই হবে ইনশাল্লাহ। আজকে হায়েনার কবলে পড়েছে বাংলাদেশ। এ বাংলাদেশকে আমাদের উদ্ধার করতে হবে। তারুণ্যের সমাবেশ, তরুণদের জনসমুদ্রে রূপ নেবে। এদেশের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন ও নগর যুবদলে সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর।
এছাড়া বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।