প্রার্থিতা ফিরে পেলেন আরও ৬১ জন

Untitled-2-copy-8.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানির তৃতীয় দিনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা ফিরে পেলেন আরও ৬১ জন। এ নিয়ে তিন দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ১৬৮ জন। এর মধ্যে খুলনা অঞ্চলে যশোর-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন সুলতান, খুলনা-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথী রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানি শেষে ইসির এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিন ৩৫ প্রার্থীর আবেদন নামঞ্জুর হয়। আর ৪ জনের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ইসি। শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং প্রার্থীর পক্ষে তার আইনজীবী ও প্রার্থী সশরীরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিতে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া উল্লেখযোগ্য প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন কুমিল্লা-১ আসনের ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মাওলানা মোঃ নাসির উদ্দিন, ঢাকা-১৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ বশির উদ্দিন, যশোর-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হুমায়ুন সুলতান, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছাঃ আশা মনি, সুনামগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান, রংপুর-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ সিরাজুল ইসলাম, কুমিল্লা-১১ আসনের গণফোরামের প্রার্থী আব্দুর রহমান, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মাসুম ইকবাল, নোয়াখালী-২ আসনের কল্যাণ পার্টির কাজী সরওয়ার আলম, ঝালকাঠি-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মনিরুজ্জামান, মানিকগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহাবুদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম-১২ আসনের বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের প্রার্থী এম. এ মতিন, মৌলভীবাজার-৩ বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোঃ আব্দুর রউফ, নোয়াখালী-২ আসনের বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট রবিউল হোসাইন, সিলেট-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এহতেশামুল হক, কুমিল্লা-২ আসনের বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট আবদুছ সালাম, ঢাকা-১৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেড আই রাসেল, সিলেট-২ আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোঃ জহির, সিলেট-৪ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন, সিলেট-৩ আসনের ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মইনুল ইসলাম, নোয়াখালী-৩ আসনের জাসদের প্রার্থী জয়নাল আবদীন, কুমিল্লা-১০ আসনের বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী এম অহিদুর রহমান, লালমনিরহাট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হালিমা খাতুন, খুলনা-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথী, নীলফামারী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ইমরান কবির চৌধুরী, গাইবান্ধা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী খান, ঢাকা-১৯ আসনের বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা-৭ আসনের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী হাজি মোহাম্মদ ইদ্রিস ব্যাপারী, নরসিংদী-৫ আসনের বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) এর প্রার্থী বিটু মিয়া, নরসিংদী-৩ আসনের গণফোরামের প্রার্থী মোঃ মাহফুজুর রহমান, ফেনী-১ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহরিয়ার ইকবাল, রাজশাহী-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ওবায়দুল, নোয়াখালী-৬ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুসফিকুর রহমান এবং ঢাকা-১৮ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ মফিজুর রহমান প্রমুখ।
অন্যদিকে, আপিলেও যে ৩৫ জন প্রার্থিতা পাননি তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, বরিশাল-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান, বগুড়া-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মেজবাউল আলম, খুলনা-৫ আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী এস. এম. এ. জলিল, চাঁদপুর-৫ আসনের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী মোঃ মনির হোসেন মজুমদার, কক্সবাজার-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ইসহাক, কুমিল্লা-১১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এম. তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া, টাঙ্গাইল-৪ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী এস. এম আবু মোস্তফা, বগুড়া-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আমজাদ হোসেন, কুমিল্লা-৫ আসনের ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) মোঃ শাহ আলম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম-১০ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মনজুর আলম, নোয়াখালী-৪ আসনের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী এস এম রহিমুল্লাহ, গাইবান্ধা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান, খুলনা-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম রাজু, গাইবান্ধা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ রফিকুল ইসলাম, ঢাকা-১৩ ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) মোঃ শাহ আলম, চট্টগ্রাম-১০ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ ওসমান গণি, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম, ঢাকা-১৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ মাসুদ খান, রাজশাহী-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ নিপু হোসেন এবং ঢাকা-১২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবিনা প্রমুখ।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আপিল শুনানি কার্যক্রম শেষ হবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর, আর প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনের প্রচার শুরু হবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে। চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top