ডেস্ক রিপোর্ট: রংপুর রেলস্টেশন এলাকায় চোরাই জ্বালানি তেলের ভাগবাটোয়ারা এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কয়েক দিন ধরেই সংঘাতের ঘটনা ঘটছে।
স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, গত কয়েকদিন ধরে এই সংঘাত চলমান রয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। স্টেশন এলাকায় যাত্রীদের রক্ষায় পুলিশের কার্যকর ভূমিকা না থাকার কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে বাধ্য হয়ে সংঘর্ষ চলাকালে স্টেশনে আসা ট্রেন নিরাপদ স্থানে থামানো হচ্ছে।
কয়েকজন যাত্রী ও স্থানীয়রা বলেন, আওয়ামী সরকারের পতনের পর রংপুর রেলস্টেশন এলাকায় চোরাই জ্বালানি তেলের ভাগবাটোয়ারা এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কয়েক দিন ধরেই সংঘাত চলছে। এ কারণে যাত্রী ও সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বড় ধরণের সংঘাতের আশংকা করছেন তারা।
এ বিষয়ে রংপুর রেলস্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট শংকর গাঙ্গুলী জানিয়েছেন, দুঃখজনক হলেও সত্য রেলের প্লাটফর্ম বাইরের সংঘর্ষের অন্যতম স্থানে পরিণত হয়েছে। বেশ কয়েকদিন এ ধরনের অনাকাঙ্খিক্ষত ঘটনা ঘটছে।
তিনি অভিযোগ করেন, রেলওয়ে পুলিশ যাত্রীদের নিরাপত্তায় কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখছে না। বাধ্য হয়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিয়েছি। সংঘর্ষের রেলস্টেশন ভবনের চারটি গ্যাস, দুটি সিসি ক্যামেরা এবং বেশকিছু চেয়ার ভেঙেছে। কয়েকবার মীমাংসার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। এ কারণে সংঘর্ষ বন্ধ হয়নি।
রংপুর রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক মমিনুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের সময় পুলিশের সদস্যরা সাধ্য মতো যাত্রীদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসার জন্য কাজ করেছেন।
তাজহাট মেট্রোপলিটন পুলিশের ওসি হোসেন আলী জানান, রংপুর রেলস্টেশন ও প্লাটফর্ম এলাকায় সংঘর্ষের সময় রেল পুলিশ কার্যকর ভূমিকা পালন করলে রেলের সম্পত্তি ও যাত্রীদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিভাবে বিষয়টি সমাধান করে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে আমার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।