নেতানিয়াহুকে ‘হিটলার’ বললেন এরদোগান

image-831202-1722157790.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: ইহুদিদের নির্বিচারে গণহত্যা চালানোর ব্যাপারে বিশ্বজুড়েই বেশ নিন্দিত জার্মানের প্রয়াত চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলার। তার সঙ্গেই এবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর তুলনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। নেতানিয়াহুকে ‘বর্তমান সময়ের হিটলার’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি।

গাজায় চলমান সহিংসতার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে অনুষ্ঠানে এরদোগান বলেন, ‘আমরা শুধু গণহত্যা বন্ধ করতেই অক্ষম হয়েছি। কংগ্রেসে যারা কসাইকে আতিথ্য দিয়েছিল, ৫৭ বার তার বিভ্রান্তিকর বক্তৃতার প্রশংসা করেছি।’

গত ২৪ জুলাই মার্কিন কংগ্রেসে নেতানিয়াহুর ভাষণ দেওয়ার সময় তাকে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা ও উল্লাস করতে দেখা গেছে, যা নিয়েই ক্ষোভ ঝেরেছেন এরদোগান।

এ বিষয়ে হিটলারের সঙ্গে নেতানিয়াহুর তুলনা করে এরদোগান বলেন, ‘যারা বিশ্বে গণতন্ত্রের ওপর বক্তৃতা দেয়, তারা আমাদের সময়ের হিটলারকে মুকুট দিতে লজ্জা পায় না। তাদের শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নেই, মানবতার আশা বাড়ানোর চেষ্টা নেই। আমরা এমন এক উন্মাদনা প্রত্যক্ষ করছি, যেখানে নিপীড়ক তার নিষ্ঠুরতার জন্য স্বীকৃত এবং নিপীড়িতদের অধিকার উপেক্ষা করা হয়।’

এদিন গাজা, ইউক্রেন ও অন্যান্য অঞ্চলে চলমান সংঘাতে আন্তর্জাতিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করা সংস্থাগুলোর সমালোচনা করেছেন এরদোগান।  এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ীদের স্বার্থরক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত বর্তমান বৈশ্বিক ব্যবস্থা তার গতিপথে চলতে শুরু করেছে। সাম্প্রতিক অতীতের সংকটের দিকে তাকালেই দেখা যাবে যে সিস্টেমটি ইতোমধ্যে দেউলিয়া হওয়া পথে। সিরিয়ায় ১৩ বছর ধরে সংঘাত চলছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে, ইয়েমেন স্থিতিশীল হওয়ার আগে সুদান অশান্তিতে রয়েছে, গাজায় ৪০ হাজার বেসামরিক লোককে মেরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু ১০ মাস ধরে গণহত্যা রোধ করা হয়নি।’

বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় তুরস্কোর কার্যক্রম সম্পর্কেও এদিন কথা বলেছেন এরদোগান। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের উন্নয়নের যাত্রাকে ধীরগতি না করেই এগোচ্ছি। নানা সংঘাত, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও আমরা আমাদের লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের দেশ যাতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ঝড়ের দ্বারা ন্যূনতমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য যা যা করা দরকার আমরা তা করছি।’

Share this post

scroll to top