পাকিস্তানের তরুণীর কাণ্ডে ভারতে হইচই, তৎপর পুলিশ

image-831207-1722158411.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজস্থানের যুবকের প্রেমে পড়ে ভারতে চলে এলেন পাকিস্তানের এক তরুণী। শুধু তাই নয়, ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ গ্রুপের ‘লাইভ হিন্দুস্তান’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতোমধ্যে বিয়েও সেরে ফেলেছেন তারা। প্রাথমিকভাবে ভিডিওকলে দুজনে বিয়ে করেন। পরে সৌদি আরবের মক্কায় গিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলেন তারা। এরপর ভারতে চলে আসেন ওই পাকিস্তানি তরুণী।

ইতোমধ্যে সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ওই যুবকের স্ত্রী। তিনি দাবি করেন, যুবকের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি। তাদের দুই সন্তানও আছে। আর ওই পাকিস্তানি তরুণী আদতে তথ্যপাচারকারীও হতে পারে। তাই পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখা হোক।

‘লাইভ হিন্দুস্তান’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজস্থানের চুরু জেলার বাসিন্দা হলেন রহমান। আপাতত কুয়েতে কর্মরত আছেন। তার প্রেমে যে পাকিস্তানি তরুণী পড়েছেন, তার নাম মহবীশ। দুজনে সৌদিতে বিয়ে করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল পোস্ট করেন। তারপর ৪৫ দিনের ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে চলে আসেন মহবীশ। আটারি সীমান্ত দিয়ে তারা ভারতে ঢুকে পড়েন।

সেই ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। ‘লাইভ হিন্দুস্তান’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, আচমকা পাকিস্তানি তরুণী চলে আসায় রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়ে যায় এলাকায়। বিশেষত চুরু থেকে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের দূরত্ব বেশি নয়। তাই পুলিশ আরও তৎপর হয়ে ওঠে। বিভিন্ন এজেন্সিও সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে ‘লাইভ হিন্দুস্তান’-র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

মহবীশ চুরুতে আসার পরই থানায় অভিযোগ করেন রহমানের স্ত্রী ফরিদা। পাকিস্তানি তরুণীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তিনি। ফরিদার বক্তব্য— ওই পাকিস্তানি তরুণী কোনো তথ্যপাচারের জন্যও আসতে পারেন বা গোয়েন্দা হতে পারেন। তাই একেবারে খুঁটিনাটি তদন্ত করে দেখা হোক তার বিষয়।

‘লাইভ হিন্দুস্তান’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই সঙ্গে ফরিদা জানিয়েছেন— রহমানের সঙ্গে তার ‘তালাক’ হয়নি। তাই দ্বিতীয় বিয়ের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। রহমান যদি পাকিস্তানি তরুণীকে সত্যি বিয়ে করে থাকেন, তাহলে আইনি পথে হাঁটবেন। আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন ফরিদা। যদিও বিষয়টি নিয়ে রহমান বা পাকিস্তানি তরুণী কোনো মন্তব্য করেননি। পুলিশের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

Share this post

scroll to top