ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম মুখোমুখি টেলিভিশন বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। যেখানে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের গর্ভপাতের অধিকারের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল ইসরাইল নিয়ে মার্কিন নীতি এবং চলমান গাজা যুদ্ধ।
মঙ্গলবার রাতের বিতর্কে প্রায় বছরব্যাপী গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ট্রাম্প এবং হ্যারিস আলাদাভাবে কী করবেন সে সম্পর্কে প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন।
যুদ্ধ থামাতে এবং জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য কীভাবে আলোচনা করবেন জানতে চাইলে, ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকলে ৭ অক্টোবর ইসরাইলের উপর হামাসের হামলার ঘটনা হতো না।
একইসঙ্গে ট্রাম্পের দাবি, ইসরাইলকে ঘৃণা করেন কমলা হ্যারিস।
‘তিনি (কমলা হ্যারিস) ইসরাইলকে ঘৃণা করেন। তিনি প্রেসিডেন্ট হলে, আমি বিশ্বাস করি এখন থেকে দুই বছরের মধ্যে ইসরাইলের অস্তিত্ব থাকবে না।’
এর আগে নির্বাচনি প্রচারে এ দাবি জোরেশোরে জারি রেখেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইহুদিবাদী সমর্থকদের ভোট পেতে ট্রাম্প দাবি করে আসছেন, কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইসরাইলকে পরিপূর্ণভাবে ত্যাগ করবেন। এর ফলে ‘সন্ত্রাসবাদী যোদ্ধারা পবিত্র ভূমি থেকে ইহুদিদের উচ্ছেদ করতে যুদ্ধ শুরু করবে’।
বিতর্কে ট্রাম্পের অভিযোগ অস্বীকার করেন ডেমোক্রেটিক পার্টি মনোনীত কমলা হ্যারিস। তার ভাষ্য, বিভাজন তৈরি করে বাস্তবতা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন ট্রাম্প।
কমলা বলেন, ‘এটা খুবই জানা বিষয় যে তিনি (ট্রাম্প) স্বৈরশাসকদের প্রশংসা করেন। তিনি প্রথম দিন থেকেই একজন স্বৈরশাসক হতে চান’।
এছাড়া ইসরাইলের ‘আত্মরক্ষার’ অধিকার এবং একই সঙ্গে গাজা যুদ্ধের অবসান চেয়েছেন তিনি।
‘এ যুদ্ধ অবশ্যই থামাতে হবে। অবিলম্বে এটির অবসান ঘটাতে হবে।’