খুলনার দর্পণ ডেস্ক : বাগেরহাটের উপকূল জুড়ে বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়া বয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বাগেরহাট সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রথমে গুঁড়ি গুঁড়ি, পরে দমকা হাওয়াসহ মুষলধারায় বৃষ্টি হয়। বাগেরহাট সদর ছাড়াও ফকিরহাট, মোংলা, রামপাল, মোরেলগঞ্জসহ উপকূল জুড়ে বৃষ্টি হয়। সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। ঘন্টাব্যাপী চলা এই বৃষ্টিতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে। হতদরিদ্র যেসব পরিবার ঘর সংস্কারের কাজ করছেন তারা পড়েছেন বিপাকে। তবে ফাগুনের শুরুর এই বৃষ্টিতে ধান, আম, পানসহ বিভিন্ন ফসলের উপকার হবে বলে ধারণা কৃষকদের।
মোঃ রুস্তম আলী শেখ নামের এক কৃষক বলেন, ফাল্গুন মাসে বৃষ্টি হওয়া ফসলের জন্য খুবই ভালো। আজকের বৃষ্টিতে ধান, পান, সরিষাসহ সব ধরনের ফসলের উপকার হবে। এই বৃষ্টির পানিতে সারের থেকে বেশি কাজ হয়েছে।
আলমগীর শেখ নামের এক রিকশা চালক বলেন, হঠাৎ বৃষ্টিতে বিপাকে পড়ে গেলাম। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে কোনো লোক নেই রাস্তায়।
শহরের মিঠাপুকুর এলাকার তহমিনা বেগম বলেন, সংস্কারের জন্য ঘর ভাঙছিলাম, বৃষ্টিতে খুব সমস্যায় পড়ে গেলাম। তাও অল্পক্ষণ হয়ে কমছে। যদি বেশিক্ষণ থাকত, তাহলে বাচ্চাদের নিয়ে খুব বিপদে পড়ে যেতাম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, বৃষ্টিতে বাগেরহাটের মাঠ-ঘাটে থাকা ধানসহ বিভিন্ন ফসলের উপকার হবে। এই সময়টায় যেমন সূর্যের তাপ বেশি থাকে, আবার পানি সংকটও থাকে। সেই কারণে বৃষ্টি হলে কৃষকদের ওপর চাপ অনেক কমে যায়। সাথে সাথে ফসলের ফলন বেশি হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
বাগেরহাটের উপকূল জুড়ে বৃষ্টি, দমকা হাওয়া
