ইসিতে ৫ দিনে ৫৬১ আপিল আবেদন, আজ থেকে শুনানি

Untitled-9-copy-6.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : নির্বাচন কমিশন সচিব মোঃ জাহাংগীর আলম বলেছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে ৫৬১ জন প্রার্থী আপিল আবেদন করেছেন। এসব আপিল আবেদন নিয়ে আজ রবিবার থেকে শুনানি শুরু করবে কমিশন। গতকাল ৯ ডিসেম্বর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ইসি সচিব বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন পড়েছে ৫৬১টি। এসব আপিল আবেদনের ওপর রবিবার থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শুনানি গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন। গতকাল আপিল আবেদনের শেষদিন মোট ১২৩টি আবেদন জমা পড়েছে। তবে কোন দলের কতটি আবেদন পড়েছে তা পরে জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে ও বাতিল চেয়ে প্রথম দিন ৪২ জন, দ্বিতীয় দিন ১৪১ জন, তৃতীয় দিন ১৫৫ জন, চতুর্থ দিন ৯৩ জন এবং আজ ১৩০ জন আপিল করেছেন। পাঁচদিনে মোট ৫৬১ জন প্রার্থী ইসিতে আপিল করেছেন। এরমধ্যে বেশ কিছু বৈধ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আবেদনও করা হয়েছে।
কোন অঞ্চলে কতটি আপিল জমা পড়েছে :
আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের অস্থায়ী ক্যাম্পের ১০টি বুথে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এসব আবেদন গ্রহণ করে ইসি। বুথগুলোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, রংপুর অঞ্চলের বুথে ৫৫টি, খুলনা অঞ্চলের বুথে ৭১টি, বরিশাল অঞ্চলের বুথে ২৪টি, ময়মনসিংহ অঞ্চলের বুথে ৬৬টি, ফরিদপুর অঞ্চলের বুথে ২৩টি, চট্টগ্রাম অঞ্চলের বুথে ৪৭টি, ঢাকা অঞ্চলের বুথে ৮৮টি, কুমিল্লা অঞ্চলের বুথে ৯০টি, সিলেট অঞ্চলের বুথে ২৩টি এবং রাজশাহী অঞ্চলের বুথে ৭৪ টি আপিল জমা পড়েছে।
রিটার্নিং অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল গত ৩০ নভেম্বর। ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে যাচাই-বাছাই। এতে ২ হাজার ৭১২ জনের মধ্যে ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। আর বৈধ ঘোষণা করা হয় ১ হাজার ৯৮৫ জনের মনোনয়নপত্র। স্বাক্ষর সংক্রান্ত জটিলতা, ঋণ কিংবা বিল খেলাপি আর দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে এসব মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে মোট ২ হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৮৫ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ এবং ৭৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করে সংস্থাটি।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রেকর্ড ৭৮৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে আপিলের প্রেক্ষিতে প্রার্থিতা ফিরে পান ২৪৩ জন।
তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top