নির্বাচনের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত : আ’লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভায় শেখ হাসিনা

Untitled-3-copy-7.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন যে, অপরাধ সংঘটন ও অগ্নিসংযোগের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে বিএনপির আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত।
নগরীর তেজগাঁওয়ে দলের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচনের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “সবারই এগিয়ে আসতে হবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। (সকলকে) জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে হবে।”
বিএনপি-জামায়াত বিশেষ করে তাদের দ্বারা সহিংসতা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যা ও জানমালের ক্ষতি সাধনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের (বিএনপি-জামায়াত) উচিত তাদের অপরাধের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং তারপরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাদের অংশগ্রহণ করা উচিত।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ হাসিনা অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতায় ভয় না পেয়ে নিয়ম মেনে যথাসময়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সময়মতো নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য তিনি দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
আন্দোলন করে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আগুন নিয়ে খেলছে। বিএনপি এবং তাদের যে জোট আছে, তাদের শুধু একটা কথা বলবো- এই আগুন নিয়ে খেলা বাংলাদেশের মানুষ কখনও মেনে নেবে না। (অতীতে) তারা নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছে, এটাও তারা বানচাল করতে পারবে না।
তফসিল ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ধন্যবাদ জানাই আমাদের নির্বাচন কমিশনকে। তারা অন্তত এ জ্বালাও-পোড়াওয়ে ভীত না হয়ে, সাংবিধানিক নিয়ম মেনে সময় মতো নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা দিয়েছেন। দেশবাসীর সহযোগিতা চেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এখন নির্বাচন যেন যথাসময়ে সুষ্ঠুভাবে হয় সেজন্য জনগণ ও দেশবাসীর সহযোগিতা আমি চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন জনগণের অধিকার, এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। সময় এসেছে নির্বাচন হবে। জনগণ ভোট দেবে। কারও যদি সাহস থাকে এসে ইলেকশন করবে। জনগণের ভোট পাওয়ার অবস্থা যদি থাকে তাহলে ভোট পাবে। জনগণ যাকে ভোটে নির্বাচিত করবে সেই সরকার গঠন করবে। বিএনপি-জামায়াত জনগণের ওপর আস্থা রাখতে না পেরে হামলা চালাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, যারা সাধারণ মানুষ হত্যা করার পরিকল্পনা করে তাদের মানুষ কেন ভোট দেবে? তাদের ওপর মানুষ কেন আস্থা রাখবে? আস্থা রাখে না। মানুষ তাদের বিশ্বাস করে না, তারা ঘাতক বলে চিহ্নিত। তারা ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত। সেটা তো মাথায় রাখতে হবে। বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ার করে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যারা নির্বাচন বানচালের জন্য অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে এদের কিন্তু ক্ষমা নেই।
বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, যারা সন্ত্রাস করছে তাদের ধরিয়ে দিন। যারা অগ্নিসন্ত্রাস করবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবার আর কোনো ছাড়াছাড়ি নেই।
আওয়ামী লীগের ওপর জনগণের আস্থা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মানুষের সেবা করেছি বলেই আমাদের ওপর মানুষের সমর্থন-আস্থা-বিশ্বাস রয়েছে। আজকে যদি সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞাসা করা হয় কোন দলের ওপর তাদের আস্থা আছে, সেটা আওয়ামী লীগের ওপরেই আছে আমাদের ওপরই আছে। সে আস্থা-বিশ্বাস ধরে রেখে আমাদের এগুতে হবে।
দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম সভায় দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top