গাজা ইস্যুতে বাইডেনের বিরুদ্ধে মামলা

Untitled-3-copy-6.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী নজিরবিহীন বোমা হামলা শুরুর পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন সহ তার মন্ত্রিপরিষদের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর টেশটির প্রতি সমর্থন ব্যক্ত, গাজায় গণহত্যা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়া এবং এতে সহযোগিতার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ দুই মন্ত্রীসহ প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় ইসরায়েলকে প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা বন্ধ করারও আহ্বান জানানো হয়েছে। গতকাল ১৪ নভেম্বর কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ খবর জানান গেছে।
চার সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গাজায় বর্বরতা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। আর এ সংঘাতের জন্য ইসরায়েলকে অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা করছে মার্কিন সরকার। দেশটির হামলায় এরই মধ্যে গাজায় ১১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার ফেডারেল আদালতে দায়ের করা ওই মামলায় বাইডেন ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। নিউইয়র্কভিত্তিক সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস (সিসিআর) গাজার বাসিন্দাদের পক্ষে এবং সেখানে বসবাস করা মার্কিন নাগরিকদের স্বজনদের পক্ষে মামলাটি করেছে।
মামলায় অভিযোগের শুরুতে সিসিআর লিখেছে, ইসরায়েল সরকারের অনেক নেতা গাজায় গণহত্যা চালানোর স্পষ্ট অভিপ্রায় প্রকাশ করেছেন এবং ফিলিস্তিনিদের জন্তু-জানোয়ারের মতো অমানবিক বৈশিষ্ট্যে আখ্যায়িত করেছেন।
সিসিআর দাবি করেছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের এমন মনোভাব এবং হত্যাকা- গণহত্যার একটি প্রকাশ্য অপরাধের প্রমাণ বহন করছে।
সিসিআর বলছে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী নজিরবিহীন বোমা হামলা শুরু করার পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন দেশটির প্রতি অটল সমর্থন ব্যক্ত করেন। চলমান সংঘাতের মধ্যে এই সমর্থনের বিষয়টি প্রায় সময়ই উচ্চারণ করেছেন বাইডেনসহ তাঁর মন্ত্রিপরিষদের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। শুধু তা-ই নয়, বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি নিহত হলেও ইসরায়েলকে সামরিক, আর্থিক এবং রাজনৈতিকভাবে সহযোগিতা করেছে বাইডেন প্রশাসন।
মামলার বাদীদের অন্যতম মার্কিন নাগরিক লাইলা আল-হাদ্দাদ চলমান সংঘাতে গাজায় বসবাস করা অন্তত পাঁচ স্বজনকে হারিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার দেয়া করের অর্থ আমার ফুফু ও ফুফাতো ভাইদের হত্যা করার জন্য পাঠানো হয়েছে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top