খান মোঃ আতিকুর রহমান বিশেষ প্রতিনিধি:
নগরীর ইস্টার্নগেট বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামে সরকারী জায়গায় বালু ভরাট করে বিভিন্ন দোকানদারদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে জায়গা বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলাধীন ইস্টার্ণগেট বাজারের দোকানদার ব্যবসায়ীবৃন্দদের এ অভিযোগ। বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে সহি করার অভিযোগ ও পাওয়া যায়। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ পত্র দাখিল হলেও থেমে নেই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ধান্দা। ইস্টার্ণগেট বাজারের আধিকাংশ জায়গা বাংলাদেশ রেলওয়ে ও মড়াসড়কের জায়গায় অবস্থিত। কিন্তু খুলনা-যশোর মহাসড়কের পূর্বপাশ দিয়ে ৩০/৪০ টি দোকান আছে যা সরকারি খাস জায়গা ও মহাসড়কের জায়গায় অবস্থিত। দোকান গুলির পিছনে ছিল ড্রেন ছিল, সেখানে অনেকেই মাছ চাষ করত। সেই ড্রেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দেওয়া বরাদ্দের টাকা দিয়ে বালু ভরাট করে উচু করা হয় এবং বলা হয় রাস্তার পাশের দোকান গুলি ভরাট করা জায়গার উপর দোকান স্থাপন করতে হবে। তারপরও মহাসড়কের রাস্তাটি ৪ লাইনের হলে দোকান গুলো ভাঙ্গা পড়বে বিধায়, দোকানদাররা সোজাসুজি পিছনে গিয়ে দোকান তৈরি করবে। বাজার বনিকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, অতিদুঃখের বিষয় হলো ইস্টার্নগেট বাজারের নব নির্বাচিত বণিক সমিতির সভাপতি আঃ ছালাম গাজী ও সাধারন সম্পাদক রওশন আলী সরদার নির্বাচিত হবার পরপরই সকল দোকানদারিদের সাথে সম্পুর্নরুপে বেইমানী শুরু করছে। যাদের নেপথ্যে রয়েছে ইস্টার্ণগেট বাজার বণিক সমিতি অর্থাৎ ইস্টার্ণগেট বাজার উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আটরা শ্রীনাথ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলম সরদার, একই পরিষদের অর্থ উপদেষ্টা নাশকতা মামলার আসামি মোঃ কামাল হোসেন, বিএনপি নেতা সৈয়দ জাকির হোসেন, বনিক সমিতির সহ-সভাপতি মকবুল মোড়ল। তাদের কথার সাথে কাজের কোন মিল পাচ্ছেন না বনিকরা। বণিক সমিতির সভাপতি ও সাধরণ সম্পাদক বড় একটি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বালু ভরাট জায়গা দোকান প্রতি ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ হাজার টাকায় জায়গা বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে বিষয়টা আমাদের জানামতে সম্পুর্ন অবৈধ ও বে-আইনি। তারা সরাসরি হুমকি স্বরপ বলছেন, টাকা দিলে জায়গা পাবা, না হলে অন্য লোকের কাছে বিক্রি করে দিব। আমরা সাধারণ দোকানদার ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে বসে আছি। একটি জায়গা নিতে এর পূর্বে ৫০,০০০/- টাকা থেকে ৮০,০০০/- টাকা দিতে হয়েছে। এরপর একটি দোকান তৈরি করতে আরো অনেক টাকা ব্যয় করছি। তারপর ইস্টার্ণগেটে ব্যবসা করে আমাদের সংসার চলে না। কারণ আমাদের পাশ্ববর্তী ২টি রাষ্ট্রায়ত্ব জুট মিল বন্ধ হওয়ায় ২/৩ হাজার লোক এখান থেকে চলে গেছে, বিধায় এই বাজার এখন অচল প্রায়। পাশাপাশি ড্রেনে বালু ভরাট করায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়ছে। এখন পানি বের হবার কোন জায়গা নাই। ভরাটকৃত জায়গায় একটি ছোট আকারে ড্রেন একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। না হলে বৃষ্টির পানিতে বালি পানির সাথে খুলনা–যশোর মহাসড়কের উপর জমে যাচ্ছে। তারই মধ্য এতা বড় চাপ ও অমানবিক নির্যাতন সহ্য করা একদম অসম্ভব। তারপরও দোকান গুলো ভাঙ্গার সরকারিভাবে কোন নির্দেশ আসিনি। কিন্তু বণিক সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের অর্থের লোভই দোকানদারদরে উপর এই ষড়যন্ত্রমূলক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বনিক সমিতির দাবি করছে উপজেলা চেয়ারম্যান বালুভরাটের টাকা দিতে চাইলেও সামান্য কিছু টাকা দিয়েছে বাকি টাকা আমাদের দেননি নিজেদের অর্থ দিয়ে খাদে বালু ভরাট করতে হয়েছে। তার জন্য আমরা দোকানদারদের নিকট হতে টাকা নিতে বাধ্য হচ্ছি। কিন্তু আমরা দোকানরা জানি উপজেলা চেয়ারম্যান একটি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে আমাদের সুস্পষ্টভাবে বলছিল আমি ২ লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করছি অল্পদিনের মধ্য বালু ভরাট এর কাজ শুরু হবে। কিন্তু বণিক সমিতি ২ লক্ষ টাকা খরচ করলেও এখন ৪০ জনের কাজ থেকে ৪০ হাজার করে টাকা নিলে ১৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাইতারা করছে, তা কোন বণিক মেনে নিতে রাজি নয়। যা নিয়ে বনিকদের মাঝে একটি উত্তেজনা বিরাজ করছে। বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা টাকা দিতে রাজি আছি যদি উপজেলা ভূমি অফিস বা সড়ক বিভাগ মেয়াদ চুক্তিতে টাকা নেন। না হলে কোন ভাবে টাকা দিতে রাজি নই কোন বণিক সমিতি। এভাবে সাধারন দোকানদারদের হুমকি দিয়ে আসছে বনিক সমিতির সভাপতি ছালাম ও রওশান। এবং টাকার বিষয়টি কাউকে বলা যাবে না আমাদের বিরোধী কোন পত্রে স্বাক্ষর করা জাবে না আমাদের বিরোধী গেলে কোন দোকান দেওয়া হবে না। এভাবে প্রত্যেককে ডেকে নিয়ে হুমকি দিচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের দোকানের কাজ শুরু করছে। দোকানদারা একটি গুরুত্ববহ অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, ইস্টার্ণগেট বাজার বণিক সমিতির বর্তমান সভাপতি আঃ ছালাম গাজী এই বাজারে কারো জানামতে কখনও কোন দোকানদারী করেনি। হঠাৎ বর্তমান সাধারন সম্পাদক তার নিজের দোকানের সামনে একটি সাইনবোর্ড দিয়ে বলে, এটা ছালামের দোকান। নির্বাচনকে নিয়ে বহু প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয় ছালামের। কিন্তু অঘাত অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে সেদিন তাদের প্যানেল যুক্ত হয়। কিন্ত মানুষ জানত না তার একটাই ইচ্ছা যে, নির্বাচন আর দরকার নেই সরকারি জায়গা বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ্য টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় তার লক্ষ্য। সালাম জানা মতে, জামায়াত ইসলামের একজন সক্রিয় নেতা ছিল এখন মহানগরীর ৩৬ নং ওয়ার্ড আওামীগের একজন সামান্য সদস্য হয়ে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এধরনের বিভিন্ন অপরাধ করে যাচ্ছে। জানাযায়, এর কিছুদিন আগে মশিয়ালী গ্রামের প্রধান সড়ক দিয়ে ভারী ট্রাক দিয়ে প্রতিদিন শতশত ট্রাক মাটি বিক্রি করছে যার অনেকেই এখনো টাকা পাবেন বলে দাবি করে। পরে এলাকাবাসির আনন্দোলনের পর বন্ধ করতে বাধ্য হয়। ঠিক তেমনিভাবে এই বাজার থেকে বড় একটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পূর্বে ব্যবসায়ীরা বুঝতে পেরে কঠিন আন্দোলনে দোকানদাররা রুখে দাড়ায়।
ইতিমধ্যে সকল ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এই বণিক সমিতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে। এরপরও তারা অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের একটাই কথা এখনো অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্ঠা করলে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি দিতে বাধ্য থাকিব। আমরা সাংবাদিক সম্মেলন করব, মানববন্ধন করব, সর্বপরি আদালতের আশ্রায় গ্রহন করব।