মধ্যরাত থেকে বন্ধ হচ্ছে খুলনায় যানবাহন চলাচল

Khulna-2-2306101633.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদক……

সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে আজ শনিবার (১০ জুন) মধ্যরাত থেকেই খুলনা নগরীতে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে। একই সঙ্গে মহানগরী এলাকায় বহিরাগতরাও থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে, আজ রাত ১২টা পর্যন্তই প্রার্থীদের প্রচারণার শেষ সময়।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী আজ মধ্যরাত থেকে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শেষ হবে। প্রচারণা শেষ হওয়ার পর বহিরাগত কেউ নির্বাচনী এলাকায় থাকতে পারবেন না। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

নির্বাচনে যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জননিরাপত্তা বিভাগের প্রজ্ঞাপনের আলোকে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচনী এলাকার ভোটকেন্দ্রের আশেপাশের এলাকায় কতিপয় যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিবসের পূর্ববর্তী মধ্যরাত অর্থাৎ ১১ জুন দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১২ জুন দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ট্রাক, বাস, মিনি বাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিক আপ, কার ও ইজিবাইক চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।
একই সঙ্গে ভোটগ্রহণের আশপাশের এলাকায় শনিবার (১০ জুন) দিবাগত মধ্যরাত ১২টা থেকে ১৩ জুন মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।

তবে রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিলযোগ্য। তাছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন-অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।

এছাড়া মহাসড়ক, বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকবে। এ নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী এবং ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুই জন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এবারের নির্বাচন হবে ইভিএমে। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ২৮৯ ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোটকেন্দ্র সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য মোট ২ হাজার ৩১০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ করা হয়েছে।

নির্বাচনে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন ও পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top