সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ……..
পদ্মা সেতুতে সুশৃঙ্খলভাবে মোটরসাইকেল চালানোয় তরুণদের প্রশংসা করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আমাদের তরুণরা যে শৃঙ্খলার সঙ্গে চালিয়েছে, তা অনন্য।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এবার আমরা একটা ‘হ্যাসেল ফ্রি’ ঈদ উদযাপন করতে পেরেছি। এবার যাত্রা ছিল স্বস্তিদায়ক। ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য এর চেয়ে হ্যাসেল ফ্রি যাত্রা গত অনেক বছর ধরে হয়ে উঠেনি, প্রধানমন্ত্রীও খুশি।
তিনি বলেন, আমাদের সবার সন্দেহ ছিল পদ্মায় মোটরসাইকেল নিয়ে সমস্যা হতে পারে। বাইকারদের অসন্তোষ ছিল, তারপরও আমরা সার্বিক সংকট হবে বলে বন্ধ রেখেছিলাম কয়েকমাস। চালু করে দেখেছি, আমাদের তরুণরা যে শৃঙ্খলার সঙ্গে চালিয়েছে, তা অনন্য। পদ্মা সেতুতে তারা সুশৃঙ্খলভাবে যাতায়াত করছে।
কাদের বলেন, কর্মস্থলে ফেরার যাত্রা নিরাপদ করার জন্য আপনারা চেষ্টা করবেন, যাতে অতীতের পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে সবার লক্ষ্য রাখতে হবে। এবার সবাই ইতিবাচক বলছে, স্বস্তিদায়ক যাত্রা হয়েছে সেটা সবাই বলছেন। যেভাবে এবার আমাদের কর্মকর্তারা যার যার দায়িত্ব পালন করছেন, সেটা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে এটি সম্ভব হয়েছে।
ঈদের আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হয়। এদিন সকাল ছয়টা থেকে কিছু শর্ত সাপেক্ষে পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু করে।
এর আগে মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়।
এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে নির্ধারিত টোল দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হতে হবে। মোটরসাইকেলের জন্য নির্ধারিত টোল বুথ ও নির্ধারিত লেন ব্যবহার করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই নির্ধারিত লেন পরিবর্তন করা যাবে না।
গেল বছরের ২৬ জুন পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। প্রথম দিনেই সেখানে ঢল নামে মোটরসাইকেলের। সেই রাতে দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হন। পরে ২৭ জুন ভোর থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে সেতু বিভাগ। ‘