উত্তরমুখী যাত্রাটাই আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ: ডিআইজি

1681911621.IMG_20230419_161120-1.jpg

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট …….

সাভার, (ঢাকা): উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেছেন, ঈদে আগামীকালের চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। উত্তরমুখী যাত্রাটাই আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।

আগামীকাল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে গার্মেন্টস ছুটি হওয়ার পরে একযোগে মানুষ সড়কে নামবে এবং তারা গ্রামে ফিরবে। তবে সে ব্যবস্থাটাও আমাদের রয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক সড়কে রয়েছি। আমরা সিনিয়র কর্মকর্তারা মনিটরিং করছি কন্টিনিউসলি।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে আশুলিয়ার বাইপাইলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, উত্তরমুখী মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। ১৬টি জেলার মানুষ এক সাথে যাত্রা করবে। একইসঙ্গে টাঙ্গাইল জামালপুরের প্রচুর সংখ্যক মানুষ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। এই মানুষগুলোর বিরাট একটা অংশ যারা কর্মজীবী না অথবা সরকারি কর্মজীবী তারা কিন্তু গতকাল কিংবা গত পরশুদিন থেকেই যাতায়াত শুরু করেছেন।

ডিআইজি বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যেও আমাদের সব ফোর্স সড়কে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করছে, যাতে যানজটের মতো ঘটনা না ঘটে। যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয় সেই চেষ্টাটাই আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। এই চেষ্টা শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। দেশব্যাপী এই চেষ্টা চলবে। সড়কের যত ধরনের নিরাপত্তা থাকা দরকার, ছিনতাই, রোডের অ্যাক্সিডেন্ট, যানজট ইত্যাদি সব ধরনের বিষয়গুলো আমরা একযোগে মনিটরিং করছি। সেলক্ষ্যে আমাদের প্রচুর পরিমাণ ডিপ্লয়মেন্ট রয়েছে। গত পরশু থেকে মূলত মানুষের ঈদমুখী যাত্রা শুরু হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত নিরাপদে নির্বিঘ্নে মানুষ বাড়ি ফিরছেন। যানজট এখন পর্যন্ত কোথাও হয়নি। আমরা আশা করি, ঈদের আগ পর্যন্ত কিংবা ঈদ শেষ করে বাড়ি থেকে মানুষ যখন ঢাকায় ফিরে কর্মে যোগ দেবে তখনও হবে না।

তিনি বলেন, ইন্সপেক্টর জেনারেল স্যার আজ আজকেও মুভ করছেন রেলস্টেশনে গেছে আগামীকাল তিনি এই সড়কে আসবেন, সচক্ষে দেখবেন মনিটর করবেন যাতে করে মানুষ স্বাচ্ছন্দে বাড়ি ফিরতে পারে এবং নিরাপদে কর্মস্থলে যোগ দিতে পারেন।

সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে যেহেতু এলিভেটেড এক্সপ্রেসের কাজ চলছে, সড়কটিও সরু সেজন্যে আমরা আব্দুল্লাহ পুর থেকে পরিস্থিতি বুঝে গাড়ি ছাড়ার নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়া যেসব জায়গায় যানজটের শঙ্কা রয়েছে সেসব জায়গায় আমরা অতিরিক্ত ফোর্স রাখবো যানজট নিরসনের জন্য।

সবশেষে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক যারা এই সড়ক ব্যবহার করে বাড়িতে যাবেন তাদের ঈদের শুভেচ্ছা জানান। এ সময় ঢাকা জেলা পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top