দিঘলিয়ায় বারাকপুরে আনসার উদ্দিন হত্যা মামলা নিয়ে চলছে নানা কৌশল

290339_image_url_Screenshot_20230326-172449.png

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট…
এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়নের লাখোহাটি গ্রামের শেখ আনসার উদ্দিন হত্যা মামলায় বারাকপুরের বারবার নির্বাচিত ও দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রায়ত গাজী জাকির হোসেনের স্বজনদের আসামি করা হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীরা থাকছে আড়ালে। এবং আসামীদের সবাই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত।
অপর দিকে নিহত শেখ আনসার উদ্দিন আওয়ামী লীগ বিরোধী পরিবারের সদস্য। একটা আওয়ামী লীগ বিরোধী কুচক্রী মহল পর্দার আড়ালে থেকে নিহত আনসার উদ্দিনের পুত্রকে দিয়ে প্রতিপক্ষকে মামলায় জড়িয়ে রথ দেখতে ও কলা বিক্রি করতে চাইছে। একদিকে বারাকপুর ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের অগ্রগতি থামাতে চাইছে। অপর দিকে প্রায়ত চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন হত্যা মামলা ব্যাহত করা। এমনই অভিমত ব্যক্ত করেছেন বারাকপুরের বিজ্ঞমহল।
এলাকাবাসী ও বারাকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার সাথে যোগাযোগে জানা যায়, বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রায়ত গাজী জাকির হোসেন হত্যা মামলার বাদী তার পুত্র গাজী কাইফকে আসামি করা হয়েছে। গাজী জাকির হোসেনের বড় ভাই ও বারাকপুর বাজার কমিটির নির্বাচিত সভাপতি গাজী নাসির উদ্দিন (৭০) কে আাসামী করা হয়েছে। যাকে এই আনসার বাহিনী হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছিল। তার ডান হাত ভেঙ্গে দিয়েছিল ২০২১ সালে। এখানেই শেষ নয় তারা প্রায়ত চেয়ারম্যানকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বসতবাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। সেই হামলায় প্রায়ত চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেনকে না পেয়ে তার বসতবাড়ি ভাঙ্গচুর করে ও লুটপাত চালায়। তারা বারাকপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক গাজী সাহাগীর হোসেন পাভেলের উপর হামলা চালায়। এবার তাকে করা হয়েছে আনসার উদ্দিন হত্যা মামলার ১ নং আসামী। জাকির গাজীর বোনের পুত্র এ্যাড. পারভেজ মিনা (৩০) ও পলাশ মিনা (৪৫) কে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গাজী ফরহাদ (৫০) কে। প্রায়ত চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেনের বড় ভাই গাজী নাসির উদ্দিনের পুত্র বারাকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন স্বপ্নতরীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলী বাকের প্রিন্স (৩২) কে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে গাজী জাকির হোসেনের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম গাজী গোলাম মোস্তফার পুত্র রাসেল গাজী (৩০) কে। আসামি করা হয়েছে আনসার ও তার সহযোগীদের হামলায় পঙ্গুত্ব বরণকারী প্রায়ত চেয়ারম্যান গাজী জাকিরের চাচাতো ভাই মোস্তাক গাজীর পুত্র আন্দু গাজীকে।
গাজী জাকির হোসেনের চাচাতো ভাই মঞ্জু গাজী (৫২), মিদু গাজী(৫৫), গাজী সেলিম রেজা (৪৮) কেএজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে।
গাজী জাকির হোসেনের ভাইপো শিমুল গাজী (২৬), মারুফ গাজী (৩০), ভাগনে মহবুব শেখ(৩২), আজিবর শেখ(৩৫), ভগ্নিপতির ভাইপো বিল্লাল চৌধুরী (৪০), আজিজুল চৌধুরী (৩০), মতুল আত্মীয় বাপ্পী শেখ(৩০) আহাদ মোল্লা(২৫), ভগ্নিপতির আত্মীয় জনি শেখ(৩২) কে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে। যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা সবাই আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত ও প্রায়ত চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেনের স্বজন বা পরিবারের সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে নিজ এলাকায় মারামারি, হত্যা, সামাজিক শৃঙ্খলা বিরোধী কোনো কর্মকান্ডের অভিযোগ নেই। বরং তাদের উপর বারবার হামলা করেছে আনসার বাহিনী। নিহত আনসার আওয়ামী লীগ ও বারাকপুরে আওয়ামী লীগের ধারক ও বাহক গাজী বংশের বিরুদ্ধে অযোষিত যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল। তার এই পালিত বাহিনী একে একে প্রায়ত চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেনের বড় ভাই গাজী নাসির উদ্দিন, বড় ভাই গাজী জাহাঙ্গীর, তার পুত্র গাজী সাহাগীর হোসেন পাভেল ও চাচাতো ভাই মোস্তাক গাজীর উপর বারবার হামলা করেছে তাদের নিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার জন্য। আওয়ামী লীগ ও প্রায়ত চেয়ারম্যান গাজী জাকিরসহ তার ভাই-বোন, আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভক্তি আনতে লাখোহাটি চারবাড়ি ভিত্তিক গড়ে তোলে এক বাহিনী। যে বাহিনী এলাকায় আনসার বাহিনী নামে পরিচিতি লাভ করেছিল গোটা বারাকপুর ইউনিয়ন জনপদে। তাদের এ অপশক্তির উন্থান এলাকার মামুষ সর্বদা আতঙ্কে থাকত। জিম্মী হয়ে পড়েছিল গোটা গাজীরহাটের শান্তিপ্রিয় লোকজন। আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সদস্যরা তদন্ত করলে সকল রহস্য উন্মোচন হবে বলে এলাকাবাসী জানান। এ ব্যাপারে কথা হয় নগরীর খানজাহান আলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন খান এর সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, গত ২৬ মার্চ মামলার এজাহারভুক্ত ২ আসামি ও পুলিশের সন্দেহের তালিকায় একজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। আমরা প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। প্রকৃত অপরাধীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে। অহেতুক কাউকে হয়রানি করা হবে না।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top