২০১ গম্বুজ মসজিদে জুমা আদায়ে ১৮০ কিলোমিটার পাড়ি

1675343091.201.jpg

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট…….
টাঙ্গাইলের গোপালপুরের ২০১ গম্বুজ মসজিদে জুমা আদায়ে ইচ্ছা রাসেল বিশ্বাস লালের। কিন্তু আগে কখনও টাঙ্গাইল আসেননি।

বাসে আসলে আশপাশে পরিবেশ দেখা যাবে না। তাই সাইকেল নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বললে তার স্ত্রী ও দুই সন্তানও সাইকেল নিয়ে আসতে উৎসাহিত করেছেন। সে উৎসাহ থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার পথ সাইকেল চালিয়ে গোপালপুরে পৌঁছেছেন বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে।
৫৮ বছর বয়সি রাসেল বিশ্বাসের বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী পৌর এলাকার পশ্চিম গারাখোলা এলাকায়। তিনি ওই এলাকার মৃত আব্দুল ছাত্তার বিশ্বাসের ছেলে। পেশায় তিনি বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি।

রাসেল বিশ্বাস জানান, পত্র পত্রিকায় গোাপালপুরের পাথালিয়া ২০১ গম্বুজের কথা তিনি জানতে পারেন। তিনি শুনেছেন এ মসজিদে প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ জুমার নামাজ আদায় করতে আসেন। তারও শখ হয় এ মসজিদে নামাজ আদায়ের।

তিনি জানান, বাসে আসলে আশপাশের কোনো কিছু দেখা হবে না। কিন্তু সাইকেল নিয়ে আসলে ফরিদপুর থেকে গোপালপুর পর্যন্ত নানা এলাকা দেখা হবে। তাই বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টার দিকে মধুখালি নিজ বাড়ি থেকে সাধারণ একটি সাইকেল নিয়ে গোপালপুরের উদ্দেশে রওনা হন। কোনো বিরতি না দিয়ে ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন। পৌঁছান দৌলদিয়া ফেরিঘাটে। ফেরিতে নদী পার হয়ে আরিচা প্রান্তে আসেন। তারপর আবার সাইকেল চালানো শুরু করেন। মানিকগঞ্জের শিবালয়, ঘিওর হয়ে দৌলতপুর উপজেলা সদরে আসেন বুধবার দুপুরে। সেখানে দুপুরের খাবার খেয়ে আবার যাত্রা শুরু করেন। টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা পার হয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার অলোয়া এলাকায় একটি মসজিদে রাত যাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু ওই এলাকার মতিয়ার রহমান নামে এক ব্যক্তি তাকে তার বাড়িতে রাতযাপন করার সুযোগ দেন।

বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭টায় আবার যাত্রা শুরু করেন গোপালপুরের উদ্দেশে। দুপুর ১২টায় তিনি গোপালপুরের পাথালিয়া গ্রামে ২০১ গম্বুজ মসজিদে পৌঁছান।

বিকেলে রাসেল বিশ্বাস জানান, গোপালপুরে পৌঁছে তিনি ওই এলাকা ঘুরে দেখছেন। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জুমা নামাজ আদায়ের পর আবার বাড়ির উদ্দেশে সাইকেল নিয়ে রওনা হবেন।

রাসেল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘ এ পথ পারি দিতে নতুন নতুন অনেক জায়গা দেখেছি। আমার খুব ভালো লেগেছে। তাই পথে কোনো ক্লান্তবোধ হয়নি।

টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্মসম্পাদক ইফতেখারুল অনুপম বলেন, সাইকেল চালানো একটি ভালো অভ্যাস। নিয়মিত সাইকেল চালালে শরীর, স্বাস্থ্য ও মন ভালো থাকে। তাছাড়া সাইকেল একটি পরিবেশ বান্ধব যান। রাসেল বিশ্বাসের এ সাইকেল চালানো দেখে অনেকেই সাইকেল চালাতে উদ্বুদ্ধ হবেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top