নিরাপত্তা চেয়ে জাতিসংঘে চিঠি দিলেন শূন্যরেখার রোহিঙ্গারা

cox1-20220920203148.webp

জেলা প্রতিনিধি……..

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মর্টার শেল ও গোলাবর্ষণে হতাহতের ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জাতিসংঘে চিঠি দিয়েছেন শূন্যরেখায় অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে দিল মোহাম্মদ চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের তুমব্রু জিরো পয়েন্টের অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দারা মর্টারশেল হামলার নিন্দা জানিয়ে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

চিঠি প্রসঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মুখপাত্র দিল মোহাম্মদ বলেন, ২০১৭ সালে সামরিক জান্তা আট লাখ রোহিঙ্গাকে জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করেছে। আমরা চিঠিতে জাতিসংঘকে জানিয়েছি সামরিক জান্তা বাহিনী যেকোনো মুহূর্তে আমাদের উপর আরও বড় আক্রমণ করতে পারে। এমন পরিস্থিতি বিবেচনায় জাতিসংঘকে শূন্য রেখার আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ চিঠি জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শূন্য রেখায় থাকা রোহিঙ্গা নেতা আব্দুর রহিম বলেন, গত শুক্রবার রাতে শূন্য রেখায় পরিকল্পিতভাবে মর্টারশেল হামলা চালিয়েছে মিয়ানমার আর্মি। তারা চায় আমরা এখান থেকে সরে যাই, তবে-আমরা অন্য কোথাও যাবো না। যদি যেতেই হয় শূন্য রেখার রোহিঙ্গারা হেঁটে পাহাড়ের অপর প্রান্তে রাখাইনে নিজেদের ভিটায় ফিরবে।

এদিকে, মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সারাদিন থেমে থেমে কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালীর আঞ্জুমান পাড়া সীমান্তে নতুন করে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। একেকটি ভারি গোলার আওয়াজে প্রকম্পিত হয়েছে এপারের মাটি-বাসাবাড়িও। এমনটি জানিয়েছেন পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে এতদিন গোলাগুলি হলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রচন্ড মর্টারশেল ও গুলির বিকট শব্দে কেঁপে উঠে পালংখালি সীমান্ত এলাকা। ফলে পালংখালির ৯নং ওয়ার্ডের আঞ্জুমান পাড়া ও পূর্ব পারিরবিল এলাকার সীমান্তবর্তী মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছে।

ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, আমাদের অংশ দিয়েও সীমান্তের ওপারে সারাদিন গোলাগুলি শব্দ পাওয়া গেছে। মাঝে মধ্যে মর্টারশেল সীমান্তের কিনারায় এসে পড়ছে। এমন অবস্থায় সীমান্তের বসবাসকারীরা ভীতির মধ্য রয়েছেন।

অপরদিকে, সীমান্ত এলাকার মানুষদের নিরাপদে থাকার জন্য মঙ্গলবার সকালে বিজিবির পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে। সীমান্তের ঝুকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকজনদের সরানোর জন্য তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছন স্থানীয় ইউপি সদস্য।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসাইন সজীব গণমাধ্যমকে বলেন, মঙ্গলবার সকালে উখিয়া সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি শব্দ পাওয়ার বিষয়টি স্থানীয়রা অবহিত করেছেন। ওই সীমান্ত এলাকার ৩০০ মিটারের ভেতরে প্রায় ১০০ পরিবার রয়েছে। আমরা তাদের খোঁজ-খবর রাখছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top