জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক …….
মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, রাজধানীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ছিঁচকে চোর, মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির সদস্যসহ ৬০০ অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) রাজধানীর মহাখালী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত ঈদে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এবারও আমরা পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে পারব। আমাদের টহল পুলিশ থাকবে সার্বক্ষণিক, সিসি ক্যামেরা থাকবে, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ঢাকার আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়াবে। তবু, যারা বাড়িতে যাচ্ছেন, তারা মালামাল বিশেষ করে, স্বর্ণ ও নগদ টাকা কারও কাছে নিরাপদে গচ্ছিত রেখে যাবেন।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, রাস্তার পরিস্থিতি ভালো। এখন যে অবস্থা দেখলাম, চাপ নেই। শর্ট রুটে দু’-একটা গাড়ি বেশি ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা বিআরটিএ‘র ম্যাজিস্টেট দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। দূরপাল্লার গাড়িতে চার্ট অনুযায়ী ভাড়া নিচ্ছে। যাত্রীরা যদি অভিযোগ করেন, আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবো। কেউ হয়রানির শিকার হলে ব্যবস্থা নেবো। অনেক সময় অনেক অভিযোগ অগোচরে থেকে যায়। গাড়িতে অপরিচিত লোকদের দেওয়া খাবার বা পানীয় খাওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, ফাঁকা ঢাকায় উঠতি বয়সের অনেক তরুণ মোটরসাইকেল বা প্রাইভেটকারের রেস করে। আমি কঠোরভাবে বলে দিচ্ছি, এ ধরনের রেস করবেন না। ফাঁকা রাস্তায় যেন রেস না করে, সেজন্য ব্যারিকেড দেওয়া হবে। তারপরও সবাইকে সতর্ক করছি। পশুর হাটগুলোতে নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাটের কারণে যেন যানজট না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি আছে। প্রতিটি গরুর হাটে জাল নোট শনাক্তের মেশিন রাখা হয়েছে। হাসিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। হাট থেকে যেন ব্যাপারীদের নগদ টাকা নিয়ে যেতে না হয়, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। গরুর হাটে এখন পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।